পার্বত্য এলাকায় একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে : সুপ্রদীপ চাকমা

বাসস
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০:৫৭
ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, পার্বত্য এলাকায় এফারমেটিক একশন ও মেইনস্ট্রিমের সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সূচনায় কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধিগণ।

আলোচনা সভায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার প্রসারে সরকারী উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং পিছিয়ে পড়া জনপদের প্রয়োজন বিবেচনায় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ের যাত্রা শুরু হয়।

তিনি বলেন, সরকারের অতিরিক্ত বাজেটের বরাদ্দ গ্রহণ না করে ফেরত দেওয়ার প্রবণতা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। বাজেটের যথাসময়ে সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দেন।

শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় চলতি বছরের মধ্যে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ১০০টি স্কুলে ই-লার্নিং চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান উপদেষ্টা। এছাড়া ৪০টি হোস্টেল নির্মাণ কাজ শেষের দিকে রয়েছে এবং দুর্গম এলাকায় স্কুল, কলেজ, ও হোস্টেল স্থাপন করায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া ও ঝরে পড়ার হার হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি জানান। শিক্ষকদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই শিক্ষাবিপ্লব একদিন দেশের অন্যান্য পশ্চাৎপদ অঞ্চলের জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে উঠবে। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাসম্পন্ন ও উন্নত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তোলার সম্ভাবনার কথাও তিনি ব্যক্ত করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক তাঁর বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বাজেটের সুসম বণ্টন ও বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আগে জানতে হবে কোথায় কোন জায়গায় কী প্রয়োজন আছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস এবং আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মীরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারা
লেবাননের ভেতরে দেয়াল নির্মাণ করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনের প্রবেশপথ অবরোধ করল আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের বৈঠক
শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন : ডা. জাহিদ
সিলেটে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ জন রাজধানীতে গ্রেফতার 
রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক সম্মেলন
লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউকের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০