ঢাকা, ২১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীর ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) আজ বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুটি কর্মশালার আয়োজন করেছে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলোর লক্ষ্য হলো, সম্প্রতি সংশোধিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন (পিপিএ) ২০০৬-এর সঙ্গে নিয়মগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা, যাতে সকল অংশীজনের প্রত্যাশা পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা যায়। কর্মশালায় ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সিলেট জেলায় বিপিপিএ আয়োজিত এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) পরিচালিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডি’র সচিব মো. কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং অতিরিক্ত সচিব এস. এম. মঈন উদ্দিন আহমেদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরো যোগ দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী এবং সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
পিপিআর ২০০৮-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলোর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন বিপিপিএ পরিচালক (উপ-সচিব) শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যমান পিপিআর ২০০৮ সংশোধন করার ব্যাপারে কাজ করছি। কারণ, পিপিএ ২০০৬ ইতোমধ্যেই সংশোধন করা হয়েছে। আইনটি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে পিপিআর আপডেট করা জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু পক্ষের বারবার চুক্তি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। নতুনদের এক্ষেত্রে জায়গা করে দেওয়া উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ‘সেখানকার বড় বিক্রেতারা জায়গা খালি করে দিয়ে রাতের বেলা ছোট বিক্রেতাদের সুযোগ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংশোধিত পিপিআর বাস্তবসম্মত এবং সকল স্টেকহোল্ডারের জন্য উপকারী কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আমরা বিভিন্ন স্তরের সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করছি।’
তিনি অংশগ্রহণকারীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন এবং তাদের পরামর্শ প্রদানে উৎসাহিত করেন।
সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিপিপিএ সিইও এস. এম. মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা নতুন দরদাতাদের পাবলিক ক্রয় ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করার জন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিপিআর সংশোধনী চূড়ান্ত করার ব্যাপারে বিপিপিএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে, আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্রয়কারী সংস্থা এবং দরপত্রদাতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিপিআর-এর প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়াটি বিপিপিএ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সকল স্টেকহোল্ডারকে আগামী ২৮ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে মতামত জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ ধরনের আরেকটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।