ঢাকা, ২১ আগস্ট, ২০২৫(বাসস) : পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে ধারাবাহিক পরামর্শ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ গ্রহণ শুরু করেছে।
গত ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে রংপুর জেলা সদর এবং সৈয়দপুর উপজেলায় বিপিপিএ দুটি পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মো. কামাল উদ্দিন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) এস. এম. মঈন উদ্দীন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আরও তিনটি জেলা ও তিনটি হাসপাতালে পরামর্শ কর্মশালা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রংপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম।
কর্মশালায় আইএমইডি সচিব বলেন, ‘পিপিএ, ২০০৬ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ৪ মে ২০২৫ তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে এবং এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধিত আইন কার্যকর করার জন্য পিপিআর, ২০০৮ সংশোধন করা প্রয়োজন। এজন্য আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি এবং সকল অংশীজনের সাথে পরামর্শ করছি। এর অংশ হিসেবে আমরা তৃণমূল স্তরের প্রতিক্রিয়া এবং সুপারিশ গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করছি।’
অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বিপিপিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পিপিআর, ২০০৮ সংশোধনী সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সকল স্তরে আলোচনার জন্য বিপিপিএ এই কর্মশালার আয়োজন করেছে সবার মতামত জানার জন্য। প্রস্তাবগুলোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, তাই উপদেষ্টার অনুমোদন নিয়ে নতুন করে পিপিআর, ২০২৫ প্রণয়ন করা ভালো হবে।
পিপিএ, ২০০৬ (সংশোধনী) তুলে ধরে তিনি বলেন, ই-জিপি ইতিমধ্যেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং যারা সীমিত সময়ের জন্য অফ-লাইনে ক্রয় করতে চান তাদের বিপিপিএ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
বিপিপিএ’র পরিচালক (উপ-সচিব) শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম পিপিআর, ২০০৮ সংশোধন প্রস্তাবের উপর একটি উপস্থাপনা করেন এবং বিপিপিএ’র জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রামার মো. হাফিজুর রহমান ই-জিপি সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, দরপত্রদাতা, ব্যাংকার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) কর্মশালা পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, বিপিপিএ টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (টিডব্লিউজি), নির্বাচিত পাবলিক সেক্টর অর্গানাইজেশন (এসপিএসও), জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করেছে।
দরপত্রদাতা এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের সাথে আরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিপিপিএ দুই মাসের মধ্যে সংশোধন প্রক্রিয়াটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ব্যাপক করার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।