দীর্ঘসূত্রতায় আটকে ফতেহ আলী সেতুর পুনর্নির্মাণ কাজ 

বাসস
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:২৩
বগুড়ায় করতোয়া নদীর ওপর ফতেহ আলী ব্রিজ। ছবি: বাসস

\ কালাম আজাদ \

বগুড়া, ৩০ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): বগুড়ায় করতোয়া নদীর ওপর ফতেহ আলী ব্রিজের পুনর্নির্মাণ কাজ দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ফলে যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে পরিবহন খরচ ও সময় দুটোই বাড়ছে। এতে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী ও শেরপুর উপজেলার অন্তত ১২ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা উপজেলার বাসিন্দাসহ জেলার কয়েক লাখ মানুষের পারাপারের মাধ্যম এই ফতেহ আলী সেতু। ১৯৬২ সালে নির্মিত সেতুটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও স্বাধীনতার পর মেরামত করা হয়। পরে সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে সেতুটি। ২০১৮ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে মানুষের যাতায়াত চালু ছিল। 

২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স জামিল ইকবাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী এক বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রথমে ২০২৪ সালের মে মাসে কাজ শেষের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি করা হলেও তাতেও কাজ শেষ হয়নি।

গত এপ্রিল মাসে সেতুটি আংশিকভাবে মানুষের হাঁটার জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে ঝুঁকি নিয়ে কিছু মোটরসাইকেলও চলাচল করছে। তবে রিকশা বা অন্য কোনো যানবাহন এখনো চলতে পারছে না। এদিকে সেতুর ওপর অস্থায়ী দোকান বসতে শুরু করায় চলাচল আরও ব্যাহত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কিছুদিন পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীনুর রহমান অভিযোগ করেন, সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় তাদের ব্যবসায়িক খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। 

কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিকল্প হিসেবে অনেক পথ ঘুরে আসতে ধান ও সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। 

চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা তুহিন সরকার বলেন, এই ব্রিজটা নিয়ে শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস। হাঁটার জন্য খোলা হলেও দুই পাশে ফাঁকা থাকায় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, বর্ষার পানি, ভূগর্ভের শক্ত স্তর আর ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় কাজ বিলম্বিত হয়েছে। 

তিনি জানান, গত ১ জানুয়ারি সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আশা করছি আগামী তিন মাসের মধ্যে বাকি ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রকেই দিতে হবে: মজিবুর রহমান মঞ্জু
গাজায় ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরাইল
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে কোস্ট গার্ডের অভিযানে সাড়ে ৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ
দেশের মানুষকে মানবসম্পদে পরিণত করবো : নূরুল ইসলাম মণি
বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোথায় মনোনয়ন পেলেন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে, প্রত্যাশা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
ঢাবি শিক্ষিকার ছবি বিকৃত করায় মামলা: প্রধান আসামি এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার
নেপালে পানবাড়ি পর্বতে ২ পর্বতারোহী নিখোঁজ 
নির্বাচন যথাসময়ে হতে হবে, সংস্কারও বাস্তবায়ন করতে হবে: আখতার
১০