ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস): ডিজিটাইজড ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে এবং সমন্বিত ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার মি. লি শেং জিওং উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল গত ২৪ু২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার গয়াং শহরের কিনটেক্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘কে-জিও ফেস্টা-কিউ’-তে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের স্লোগান ছিল: জিও এআই : ড্রাইভিং চেঞ্জ, শেপিং দি ওয়ার্ল্ড।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার, সম্মেলনের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উভয় দেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডিজিটাইজড ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে এবং সমন্বিত ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাইজড ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ এবং একটি সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম তৈরির বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার এবং এআই ও জিওস্প্যাটিয়াল প্রযুক্তির প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের সাইড লাইনে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিজিটাইজড জরিপ এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় এআই ও জিওস্প্যাটিয়াল প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত সম্ভাবনা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের শেষ দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর, ইন্টারন্যাশনাল মিটিং ফর এডভান্সিং জিওস্পাটিয়াল ইনফরমেশন কোঅপারেশন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, সৌদি আরব, আজারবাইজান, মঙ্গোলিয়া, পেরু, ইন্দোনেশিয়া—সহ বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে।