ভোলা, ২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : দ্বীপ জেলা ভোলায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারাদীয় দুর্গোৎসব পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবারের পূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবলয় বিদ্যমান থাকায় পূজার উৎসবকে নির্ভয় ও নির্বিঘ্নে উদ্যাপন করতে সনাতনীদের কোনোপ্রকার বেগ পেতে হয়নি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অসীম কুমার সাহা বাসস'কে জানান, এবারের দুর্গাপূজার আয়োজন ছিলো একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী। তিনি বলেন, অতীতে আমরা পূজা অর্চনা করলেও অনেকের মধ্যে ছিল অজানা এক শঙ্কা, আতঙ্ক। কিন্তু এবারের পূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বুক ফুলিয়ে শঙ্কামুক্ত আনন্দোৎসব পালন করেছেন। তাই তিনি সরকার ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
ভোলা সদরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্ত ঘোষ বলেন, বর্তমান সরকারের শক্তিশালী হস্তক্ষেপের ফলে এবারের দুর্গোৎসব ছিলো খুবই আনন্দদায়ক। এবার পূজায় সরকার, বিএনপি ও বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা এবং আর্থিক অনুদানের বিষয়টি ছিলো অভাবনীয়।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ভোলা-১ আসনের সাবেক সাংসদ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমনান পার্থ'র বিশেষ নির্দেশনায় বিজেপি নেতাকর্মীরা জেলার প্রতিটি মণ্ডপে সনাতনী ভাই-বোনদের সুরক্ষা দিতে যে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছেন, এ জন্য তিনি তার কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদার আলী লেলিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসূল আলম ও ভোলা সদর উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ'র কাছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সাহায্য পেয়েও কৃতার্থ বলে জানান, কমিটির এই নেতা।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে জেলার ১১২টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে প্রস্তুত রয়েছেন।
ভোলার পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক বাসস'কে জানান, প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম পরিচালিত করতে জেলাব্যাপী মন্দিরগুলোকে, র্যাব, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে ৪ স্তরের নিরাপত্তা চাদরে মোড়ানো হয়েছে।