খুলনার রূপসা, ভৈরব ও ময়ূর নদসহ ২২টি খালের দূষণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি

বাসস
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩১
ছবি : বাসস

খুলনা, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস):জেলার রূপসা, ভৈরব ও ময়ূর নদসহ ২২টি খালের দূষণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জনউদ্যোগ নামের একটি সংগঠন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা সিভিল সোসাইটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দখল-দূষণের কবল থেকে রূপসা, ভৈরব ও ময়ূর নদকে বাঁচানোর আবেদন জানানো হয়।

বলা হয়, ভৈরব, রূপসা এবং ময়ূূর নদীগুলো ভয়াবহ দূষণ ও দখলের শিকার, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক বিপদজনক । অপরিকল্পিতভাবে নদ- নদী, খাল খননের কারণে নাব্যতা কমে গেছে এবং জলজ জীবন ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে, ময়ূর, রূপসা ও ভৈরব নদীর অবস্থা ঢাকার বুড়িগঙ্গার মতো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিবেশবিদরা নদীর বিভিন্ন অংশের পানি পরীক্ষা করে পেয়েছেন আশঙ্কাজনক মাত্রার দূষিত পানির প্রমাণ। নদী সংলগ্ন এলাকায় কলকারখানা, হাসপাতাল, ঘর-বাড়ি, ঝুলন্ত টয়লেট এবং দোকানপাটের নিত্যদিনের বর্জ্য এ তিন নদ-নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে ফেলছে। একইসঙ্গে পানিতে ক্ষার ও অম্লের পরিমাণও বাড়ছে। 

দেশ স্বাধীনের পর থেকে খুলনায় নদী ও খাল দখলে চলছে মহোৎসব। প্রতিনিয়ত দূষণ ও দখল মহোৎসবে নদী একদিকে যেমন সংকুচিত হয়ে আসছে, অন্যদিকে নদীর পানি ব্যাপক দূষণের কবলে পড়ে ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নগরীর দৌলতপুর-খালিশপুর এলাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তিনটি তেলের ডিপোর ধোয়া-মোছার পর তেলযুক্ত পানি সরাসরি চলে যাচ্ছে ভৈরব নদে ও রূপসা নদীতে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ খুলনার নারী সেলের আহ্বায়ক এ্যাড, শামীমা সুলতানা শীলু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিভিল সোসাইটির আহ্বায়ক এস এম শাহনাওয়াজ আলী, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারি এ্যাড, মোমিনুল ইসলাম, জনউদ্যোগ খুলনার আহ্বায়ক শিক্ষক মানস রায়, দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিব ইঞ্জিনীয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সহ-সভাপতি সরদার আবু তাহের, সুরখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম সীপার, প্রবীণবান্ধব সংস্থার এম এ সবুর, দীপু ফাইন্ডেশনের সমন্বয়কারি পল অসীম বিশ্বাস, সাংবাদিক সাগর সরকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ময়ূর নদী খননের পাশাপাশি রূপসা ও ভৈরব নদেরও নাব্যতা বৃদ্ধি করা দরকার। নগর সংলগ্ন নদীগুলির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় জোয়ারের সময় পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে । এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সময়োপযোগী পদক্ষেপ দরকার। 

খুলনা শহর ও আশেপাশের জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রাকৃতিকভাবে নদী, খাল, জলাশয় সংরক্ষণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন, মাটির তলদেশের পানি রিচার্জ, লবনাক্ততার প্রভাব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন বাবর
প্রথমবারের মত ভারতকে হোয়াইটওয়াশের চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়ার
চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক
আগামী নির্বাচন হবে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক : শফিকুল আলম
মিয়ানমারে অভিযান থেকে বাঁচতে সহস্রাধিক লোকের থাইল্যান্ডে অনুপ্রবেশ
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফিরছেন ম্যাক্সওয়েল
রিজওয়ানের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন অস্ট্রিয়ার করণবীর
চট্টগ্রাম বাজারে শীতের সবজি, কমতে শুরু করেছে দাম 
পিয়েরেকে টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
যশোরের সড়ক দুুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
১০