
সুনামগঞ্জ, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : গ্রামীণ জনগণের জন্য স্বল্প সময়ে ও সহজে বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক সুরাইয়া আখতার জাহান বলেন, শাস্তি প্রদানের জন্য আদালত ও পুলিশের কাছে যেতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি মূল লক্ষ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা। একজন গ্রাম প্রতিনিধির কাজ কারো শাস্তি দেওয়া নয়, এজন্য পুলিশ ও আদালত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো মামলা গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি না হলে সেটি পুলিশের কাছে পাঠান, পুলিশ দেখবে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ আছে কি না। পুলিশও যদি সমাধান করতে না পারে, তাহলে বিষয়টি উপযুক্ত আদালতে যাবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এ সময় সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত কুমার চন্দ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা জেরিন, সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ফারজানা হোসেন, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে, জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক সুচিত্রা রায়, ইউপি চেয়ারম্যান ছবাব মিয়া, শওকত মিয়া, ছুফি মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি করেছে। এতে মামলা জট কমছে এবং বিচারপ্রার্থীরা সময় ও অর্থে সাশ্রয় হচ্ছে। আবেদনকারী ও প্রতিবাদী পক্ষ থেকে দুইজন করে চারজন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট পাঁচজন নিয়ে গ্রাম আদালত প্যানেল গঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, নারীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নারী সদস্য মনোনয়ন বাধ্যতামূলক। গ্রাম আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রকার বিরোধের নিষ্পত্তি হতে পারে, নিজের কথা নিজে বলা যায়- আইনজীবী লাগে না।