
ঝালকাঠি, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : জেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যসম্মত নগর গঠনের লক্ষ্যে “বাংলাদেশে টেকসই ও স্বাস্থ্যসম্মত নগর গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প”এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে এবং ভাইটাল স্ট্রাটেজিস ও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের সহায়তায় আজ সোমবার বিকাল ৩টায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মেরোহারে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল অঞ্চলে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল নলছিটি মডেল সোসাইটি, ঝালকাঠি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, সূর্যলোক ট্রাস্ট, পিপলস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, মবিলাইজেশন ফর অলটারনেটিভ প্রোগ্রাম, লাভ দাই নেইবর, সোসাইটি ফর সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ, কমিউনিটি বেইজড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, নলেজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইয়েস বাংলাদেশ ও এইড অর্গানাইজেশন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন নলছিটি মডেল সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি বরিশাল অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ বলেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এবং সরকারের বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি সংস্থার একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
মবিলাইজেশন ফর অলটারনেটিভ প্রোগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, তামাক আইন কার্যকরে সংবেদনশীল নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে তোয়াক্কা না করে তামাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কৌশলে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কনসার্ট আয়োজন করে কিশোর ও তরুণদের বিভ্রান্ত করে তামাকজাত পণ্যে আসক্তিতে উদ্ভুদ্ধ করছে। তাই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে নিরবতার সংস্কৃতি ভেঙ্গে তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ঝালকাঠি ডেভলমন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম খলিফা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইন বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সূর্যলোক ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতিন নাঈম দীপ বলেন, তামাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া শিশু ও কিশোরদের সুষ্ঠ বিনোদনের ব্যবস্থা করলে তামাকজাত পন্যে আসক্তি হ্রাস করা যাবে।
সভায় বক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণের সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় সরকার, সিভিল সোসাইটি এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত ভূমিকার মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।