
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ‘রিনিউয়েবল অ্যানার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির সভাকক্ষে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আধুনিক বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের কৌশল নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুয়েটের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে দেশের গবেষক এবং নীতি নির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন।
সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইপিআরসি সদস্য (উদ্ভাবন) ড. মো. রফিকুল ইসলাম, কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. খালেকুজ্জামান।
উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুয়েটের আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুয়েট আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. নূর কুতুবুল আলম।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি তার বক্তব্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সরকারের বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রচলিত জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থাগুলোর মধ্যকার এই সহযোগিতা দেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই সেশনে কী-নোট পেপার উপস্থাপন এবং সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন বিইপিআরসি-এর পরিচালক (উদ্ভাবন) ড. হাসান মাহমুদ। টেকনিক্যাল সেশনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড
ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং অ্যানার্জি সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শামীম হোসেন।
সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে দেশের বর্তমান জ্বালানি পরিস্থিতি এবং গবেষণার ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন। এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে শিক্ষাবিদ ও গবেষকদেও মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে বলে মনে করছে আয়োজকরা।