বাসস
  ১১ মে ২০২৩, ১৭:২৭

নিষিদ্ধকালে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ মে, ২০২৩ (বাসস): বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে সম্পৃক্তদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী সকল প্রকার মৎস্য নৌযান ট্র্যাকিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। নিষিদ্ধকালে আমাদের সমুদ্রসীমায় কোনভাবেই যেন বিদেশি নৌযান প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে  ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ জলসীমা অর্জিত হয়েছে। এ জলসীমায় আগের চেয়ে গতবছর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সাফল্য এবারও ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকায় বরফকল বন্ধ রাখা গেলে এবং কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে পারলে নিষিদ্ধ সময়ে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা যাবে। সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখলে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। 
রেজাউল করিম বলেন, নিষিদ্ধকাল বাস্তায়নে জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে সে সব এলাকার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকসহ অন্যান্যদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (ব্লু- ইকোনমি) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসকগণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বন বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।