শিরোনাম
ঢাকা , ৫ জুন , ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ‘গবেষণা কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ ও সুপারিশসমুহ উপস্থাপন ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের আওতায় অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি গ্রন্থাগারের বাস্তব অবস্থা , সক্ষমতা ও কার্যকারিতা যাচাই সংক্রান্ত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমুহ অংশীজন ও সংবাদমাধ্যমে অভিহিতকরণের লক্ষ্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ডের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মফিদুল হক। গবেষনা প্রতিবেদনের সুপারিশসমুহ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড কাজী. মোস্তাক গাউসুল হক।
গবেষনা সুপারিশ ও প্রস্তাবনায় বলা হয় , গবেষণা কার্যক্রমটির জন্য মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য দেশের ৪টি বিভাগের ৩৬টি জেলাকে ৯টি জোনে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি জেলায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৪টি করে অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি গ্রন্থাগার নির্বাচন করে মোট ১৪৪ টি গ্রন্থাগারের পাঠক , গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের মৌখিক সাক্ষাৎকার গ্রহনের মাধ্যমে গবেষনার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় । ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালযের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ৯ জন শিক্ষার্থীকে ৯টি জোনের তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তথ্য সরবরাহের জন্য গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ ও গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীদের জন্য পৃথক দুটি প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করা হয়।
গবেষনায় আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬ টি সুপারিশ এবং মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১৩ টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিক সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে - গ্রন্থগারগুলোতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার , সকল গ্রন্থাগারে অভিন্ন , বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে শ্রেণীকরণ ও সূচিকরণ , পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গ্রন্থাগারকেন্দ্রিক কর্মসূচি জোরদার করা ( পাঠচক্র ) , লেখককে ঘিরে পাঠচক্র আয়োজন , সরকারি অনুদানের হার ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি , অভিভাবক ও শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরা এবং অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারসমুহের কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্নের জন্য একটি ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা।
মফিদুল হক বলেন , দেশব্যাপী বেসরকারি গ্রন্থাগারসমুহের কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাইয়ের একটি বড় মাধ্যম এই গবেষণা। এই গবেষণার ফলে বেসরকারি গবেষনাগার সমুহের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন , এই গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে- দেশে পাঠক বৃদ্ধি , গ্রন্থগারগুলো আরো কার্যকর এবং আরো বেশি সংখ্যক পাঠক সৃষ্টি করা। গবেষণা যথাযথ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে আরো অনেক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলো যে কাজ করছে, তার একটি স্বীকৃতি এ গবেষণা। গ্রন্থাগারগুলোতে সামাজিক শক্তির একটা প্রতিফলনও এতে আছে।
মিনার মনসুর বলেন, নানা কারণে মানুষ বই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে । এ বাস্তবতায় এ গবেষণা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই গবেষনার ফলে দেশের বেসরকারি গ্রন্থাগার সমুহের বাস্তব অবস্থা কী, তা জানা সম্ভব হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তি কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।