
দিনাজপুর, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা রোধে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে এক হাজার তাল বীজ রোপণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের মিশন রোড এলাকার ঘাগড়া ক্যানেলের পাশে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম তাল বীজ রোপণের শুভ উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন বজ্রপাতের নির্মম ঘটনা থেকে বাঁচতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, দেশে রাস্তাঘাট ও জনবসতি এলাকাসহ, পতিত জায়গা গুলোতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে তালগাছ রোপণে এগিয়ে আসতে হবে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের সহযোগিতায় দিনাজপুর শহর ও সদর উপজেলার মধ্যে দীর্ঘ সাড়ে ৯ কিলোমিটার ঘাগড়া ক্যানেল এর উভয় পাশে এক হাজার পিস তাল বীজ রোপনের কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী দু'দিনের মধ্যে এক হাজার পিস তাল বীজ ঘাগড়া ক্যানেলের উভয় পাশে রোপণ কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
জেলা বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, দিনাজপুর ঐতিহ্যবাহী মহারাজা গিরিজা নাথ ঘাগড়া খাল দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯ কিলোমিটার রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পড়েছে দিনাজপুর শহরের মধ্যে ও অবশিষ্ট ৬ কিলোমিটার সদর উপজেলার মধ্যে রয়েছে। আমরা এক হাজার তালের বীজ ঘাগড়া ক্যানেলের উভয় পাশে রোপণ কাজ শুরু করেছি। যদি ঘাগড়া ক্যানেলে উভয় পাশে আরো অতিরিক্ত তালের বীজ রোপণ করা যায়, সেটিও আমরা ব্যবস্থা করব বলে তিনি ঘোষণা দেন।
তিনি জানান,এভাবে আমরা তাল বীজ সহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় যেসব বৃক্ষ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে, ওইসব বৃক্ষের চারা রোপণ প্রকল্প গ্রহণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে তাল বীজ রোপণ করলাম। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে অর্জিত তালগাছের ফলের মালিক হিসাবে এলাকাবাসীরা ভোগ করতে পারবেন। এলাকাবাসীরা এই তাল গাছ বড় না হওয়া পর্যন্ত, তারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন বলে তিনি জানান।
জেলা শহরের মিশন রোড় এলাকার তরুণ রাসেল আহমেদ(২৩) ও জুয়েল রানা (২৪) জানান,তারা জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে রোপণ করা তাল বীজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাদের সহযোগি অন্য যুবকদের নিয়ে স্বেচ্ছায় করার কথা জানান।তারা বলেন, তালগাছ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় বজ্রপাতের ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।দেশ ও নিজেদের স্বার্থেই এই তালগাছ সংরক্ষণ করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে ব্যক্ত করেছেন।