
বরিশাল, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস): নগরীর কাশিপুর মুখার্জী বাড়ি পুল সংলগ্ন খান মঞ্জিল ভবন মালিকের ভাড়ার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ এর কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র কিছু ডিলার নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে অবৈধ, কমদামি সিগারেট বিক্রি ও মজুত করে আসছিল। যা গোপনে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়।
অভিযানকালে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত প্রায় ৫০ কার্টুন সিগারেট জব্দ করা হয়। প্রতি কার্টুনে রয়েছে ১০ হাজার পিস সিগারেট। লাল ও নীল রঙের দুই প্রকার সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের মূল্য লেখা রয়েছে ১২০ টাকা। এই হিসেব অনুযায়ী জব্দকৃত অবৈধ সিগারেটের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান জানান, কাস্টমস বিধি অনুযায়ী এসব পণ্য আটক দেখিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আসার আগেই গোডাউনের লোকজন সরে যায়। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তবে সরেজমিন পরিদর্শনে আসলে ব্যবসায়ী বা স্টাফ কাউকেই পাওয়া যায়নি। এখন আইন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করা হবে। প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ভবন মালিক ও স্থানীয়সহ বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে এ সব মালামাল জব্দ করা হয়।
রাজস্ব কর্মকর্তা সাজ্জাদ আলম বলেন, অবৈধ বিড়ি-সিগারেটের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। নকল ও কর ফাঁকির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানের সময় বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) বাসুদেব, এএসআই বাবুলসহ কনস্টেবল মিজান ও আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
খান মঞ্জিলের মালিক নূরুজ্জামান বলেন, তার ছেলে সোলায়মান ২ বছরের চুক্তিতে চলতি বছরের জুন মাসে তাদের বসতঘরের সামনের ভবনটি মাস প্রতি ৮ হাজার টাকায় ভাড়া দেয়। ভাড়াটিয়ারা পিকআপে কার্টুন ভর্তি মালামাল আনা নেয়া করে। এর বেশি কিছুই জানেন না তিনি।
গোডাউন ম্যানেজার কায়সার বলেন, আমি বেতনভুক্ত কর্মচারী। কাস্টমস আর কোম্পানি ভাল বলতে পারবে সিগারেট আসল না নকল।