জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় শক্তিশালী অভিযোজন প্রচেষ্টার আহ্বান বিমসটেকের

বাসস
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১:২০
ছবি : বিমসটেক

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে জলবায়ুজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোজন কার্যক্রম শক্তিশালী করা, জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রযুক্তিতে অধিকতর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক বহু-পক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

গত ২৩ অক্টোবর বার্লিনে অনুষ্ঠিত ‘সপ্তম বার্লিন জলবায়ু ও নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৫’-এ এক বক্তব্যে পাণ্ডে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এখন আর পছন্দের বিষয় নয়, বরং ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এটি একটি কৌশলগত অপরিহার্যতা’। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ।

সম্মেলনে বিমসটেক মহাসচিব ‘বিয়ন্ড বর্ডারস: রিজিওনাল অ্যান্ড প্লুরিল্যাটারাল ক্লাইমেট সিকিউরিটি ইন অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

আজ বিমসটেকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্যানেলটি জলবায়ুজনিত হুমকি মোকাবেলায় কন্টেক্সট ভিত্তিক আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টাকে সম্পূরক করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে।

বক্তব্যে পাণ্ডে বলেন, বিমসটেকভুক্ত দেশগুলো অনিশ্চিত আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে, যা এ অঞ্চলে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও মানব নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিমসটেকের কার্যক্রম বৈশ্বিক বহুপাক্ষিক কাঠামোকে সম্পূরক করে এবং সম্মিলিত স্থিতিশীলতা গড়ে তুলতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।

তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, পার্বত্য অর্থনীতি, জ্বালানি, কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে বিমসটেকের অর্জন তুলে ধরেন।

পাণ্ডে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নিরাপত্তা ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবেলায় অভিযোজনের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ, জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারের উন্নয়ন, স্থানীয় ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সমাধানের প্রচার এবং বহু-পক্ষীয় অংশীদারিত্বের শক্তিশালীকরণের আহ্বান জানান।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রতি বিমসটেকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিমসটেক মহাসচিব বলেন, সংগঠনটি ‘নিরাপদ, টেকসই ও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যৎ’ নিশ্চিত করতে সদস্যভুক্ত নয় এমন রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থবহ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাবে।

বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) হচ্ছে সাত দেশের একটি আঞ্চলিক সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সংস্থাটি কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সাতটি মূল খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা উন্নয়নে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রকল্পের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
সাবেক সিপিএ চেয়ারম্যান কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি আছেন
বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে দুই জেলায় দুদকের অভিযান
রাজবাড়ি ও উপাধি নিয়ে চাপের মুখে ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রু
নির্বাচনের প্রস্তুতি: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় বৃহস্পতিবার
চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব
চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ে চুক্তির ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
জুলাই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই : আখতার হোসেন
১০