ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নির্যাতনের অভিযোগ ভিত্তিহীন : কারা অধিদফতর

বাসস
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫০ আপডেট: : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৪৬

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নির্যাতন ও লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন অভিহিতি করে  প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কারা কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে কারা অধিদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ‘ভারতীয় মৎস্যজীবীদের লাঠি দিয়ে মেরেছে বাংলাদেশ, বলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদের প্রতি কারা অধিদফতরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এই সংবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। যেখানে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকজনের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করা, দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা এবং চিকিৎসা না করানোর কথা উল্লেখ করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

এতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলা কারাগার থেকে ৩১ জন এবং বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে ৬৪ জন জেলেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেলেদের মুক্তি প্রদানকালে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। হস্তান্তরকালে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় নাগরিকরা কারাগারে নির্যাতনের কোনো অভিযোগ করেননি। সব বন্দীকে কারাগার থেকে হস্তান্তরকালে সুস্থ অবস্থায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

সহকারী সার্জনের মাধ্যমে তাদের এ সংক্রান্ত সুস্থতার উপযুক্ত সনদ প্রদান করা হয়। কারাগারে তারা ভালো ব্যবহার, সুচিকিৎসা পেয়েছেন এবং বাংলাদেশি বন্দীদের সঙ্গে সমঅধিকারে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি অনেকে এক পোশাকে আগমন করায় কারা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শীত বস্ত্রসহ সব ধরনের পোশাক সরবরাহ করেছে। 

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নিউজবাংলা’ মিডিয়ায় প্রচারকালে সাক্ষাৎকারে মুক্তিপ্রাপ্ত একজন বন্দী জেলে জানান, কারাগারে তাদের কোনো নির্যাতন করা হয়নি। সুতরাং, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উত্থাপিত অভিযোগ সত্য নয়।

প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জেল সব সময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব বন্দীর প্রতি সমান আচরণ করে থাকে। বিদেশি বন্দীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে বিশেষ খেয়াল রাখা হয়। কারাগারে সব ধর্মের বন্দীদের যার যার ধর্মীয় উৎসব ও রীতি পালনের সুযোগ দেওয়া হয় এবং বিশেষ উৎসবে সব বন্দীকে বিশেষ খাবারও পরিবেশন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারের একটি সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারা অধিদফতর প্রকাশিত সংবাদে উত্থাপিত অসত্য অভিযোগের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা আশা করছি, সব দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সংবেদনশীল বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে তাদের উত্থাপিত তথ্য বা বক্তব্যের সঠিকতা নিশ্চিত করবেন, যা দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিএমইউতে ড্যাব নির্বাচন নিয়ে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ড. ইমরান আনসারীর সঙ্গে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র মতবিনিময়
বিএসডব্লিউ ব্যবহারে এনবিআর ও বিএইআরএ- এর মধ্যে এমওইউ সাক্ষর
দশ হাজার কেজি নারকেল নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রান পাকিস্তানের
জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
প্রথম বিভাগ দাবা লিগে সপ্তম রাউন্ড শেষে ইসফট এরিনা শীর্ষে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় আসামি মহিনের দায় স্বীকার
চতুর্থ টেস্টের আগে ভারতীয় দলে দু:শ্চিন্তা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় অর্ধেক অবদানই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 
১০