রূপকল্প, মূলনীতি, লক্ষ্য ও নেতৃত্ব বিষয়ে সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের

বাসস
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৮

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) :  জনপ্রশাসন সংস্কারের রূপকল্প, লক্ষ্য, নেতৃত্ব কাঠামো, স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন বিষয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে,‘প্রজাতন্ত্রের সর্বস্তরে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা’। জনবান্ধব, নৈতিক, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক, নৈতিক, দক্ষ ও কার্যকর জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। ‘প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে নির্ধারিত সেবা প্রদান করা’। 

জনপ্রশাসন সংস্কার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া বিধায় টেকসই সংস্কার বাস্তবায়নের স্বার্থে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন স্বল্প মেয়াদি সংস্কার কমিশন গঠন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। সংবিধান ও বাংলাদেশ যে সকল আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণ করে তার আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন সংস্কার কর্মসূচির একটি জেনেরিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সে আলোকে নিজ নিজ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে প্রেরণ করবে। কমিশন তা পরীক্ষা করে চূড়ান্ত সুপারিশ সরকারের বিবেচনার জন্য পেশ করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের অধীন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দপ্তরগুলোকে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে বলে সুপারিশে বলা হয়। 

জনপ্রশাসনে নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও নীতি প্রণয়নে সহায়তা ও গবেষণার লক্ষ্যে একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে ল্যাব হিসেবে নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়। সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যসম্পাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর জনমুখী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিধিবদ্ধ ও প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলোকে সমন্বিত ওয়েব পোর্টাল ভিত্তিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে হবে। উক্ত ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে প্রধান প্রধান কার্যসম্পাদন বিষয় পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক ব্যবস্থা থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মূল মডিউল রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ডিজিটাল ভৌত অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে বলে সুপারিশে বলা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
৪ আগস্ট ছাত্র জনতার দখলে ছিল সাতক্ষীরার রাজপথ
আগামীকাল জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
‘জুলাই আন্দোলনে মোবাইল সাংবাদিকদের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে’
ফিরে দেখা জুলাই: দ্রোহের মিছিলে সিলেটের গ্রামীণ জনপদ
জুলাই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নওগাঁয় ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি
‘জুলাই-গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘সুজন’ প্রণীত ‘জাতীয় সনদ’ হস্তান্তর
আসুন এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না : প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশে টিকতে পারবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১০