ডিসিরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাসস
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৪
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এক কার্য-অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জেলা প্রশাসকরা নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে (মঙ্গলবার) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবার ডিসিরা নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করতে পারবেন। কেউ রাজনৈতিকভাবে তাদের ওপর কোন প্রভাব খাটাতে পারবেনা। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে ডিসিদের কোন অসুবিধা হবে না। কেননা এবারের  নির্বাচন নির্দলীয় ব্যবস্থাপনায় হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের পাহাড়ের তালিকা দিতে বলা হয়েছে।  পাহাড়ের তালিকা পেয়েছি আমরা। পাহাড় কাটলে আগে শ্রমিকদের ধরা হতো, এখন থেকে মালিককে ধরা হবে। এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, বন দখলমুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। আইন অনুযায়ী  বন থাকে ডিসিদের নামে। বন উদ্ধারের বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের ঢালে সড়কের পাশে সংরক্ষিত বন ঘোষিত এলাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ৫১ একরের আবাসন প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা পাহাড় কাটার ক্ষেত্রে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, বনাঞ্চল সংরক্ষণে মধুপুর শালবনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, অবৈধ দখলমুক্তকরণ ও সংরক্ষিত বন এবং নদী ও জলাশয়ের রেকর্ড সংশোধনের বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, জেলাগুলোতে নদ-নদী দখল ও দুষণ মুক্ত করতে জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। এসব নির্ধারণ করে এদের আগের রূপ ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে কোনো মহাপরিকল্পনা নাই। চীন একটা পরিকল্পনা দিয়েছিল। ২০২৬ এর পরিকল্পনার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তিস্তা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পরিকল্পনা সরকারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বালু ও পাথর উত্তোলনের আগে অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। দূষণবিরোধী অভিযানে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং প্রয়োজনে যৌথ বাহিনীর সহায়তা গ্রহণের ওপরও তিনি জোর দেন। তিনি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বনাঞ্চলগুলোর পাশাপাশি দ্বীপ যেমন সেন্টমার্টিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া  সিলেটের জাফলংয়ের নদী এলাকায়  ইকো ট্যুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে, তাদের মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের কণা উপস্থিত থাকবে। সুতরাং প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি সকল সরকারি কর্মস্থলকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত করার বিষয়ে আহ্বান জানান।

ঢাকার খাল সিটি করপোরেশনের অধীনে রয়েছে এ কথা  উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাল দখল করে যারা কাঁচা- বাজার নির্মাণ করে জায়গা দখল করেছেন তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১২, একজন আশঙ্কাজনক
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী বসতি মেলা
সুনামগঞ্জে ভূমিকম্প মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা 
সন্দেহভাজন বেলুনের কারণে লিথুয়ানিয়ার প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ
আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হবে শিগগিরই: চিফ প্রসিকিউটর
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি
ঝিনাইদহে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
রাসায়নিক দুর্যোগে হাসপাতালের প্রস্তুতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ শুরু
টিকটকের লাইসেন্সের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল ইন্দোনেশিয়া
১০