অভিবাসী প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশসহ ৭ দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত ইইউ’র

বাসস
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৪০
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার সাতটি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেগুলোকে তারা দ্রুত অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনে করছে। নতুন আশ্রয়নীতির মাধ্যমে এসব দেশের নাগরিকদেও জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে আশ্রয় প্রার্থনা (অ্যাসাইলাম) কঠিন করে তোলা হচ্ছে।

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিশর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাব করছে।

ব্রাসেলস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই পদক্ষেপ ইইউভুক্ত দেশের সরকারকে এই তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনগুলো আরো দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হবে এমন ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। তবে  এই ধরনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

ইইউ’র অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনের অনেক জট লেগে আছে। তাই দ্রুত আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আমরা এখন যেকোনো কিছু করতে পারি।

বুধবার কমিশন জানিয়েছে, ইইউ’র দেশগুলো নিরাপদ দেশ মনোনয়নে নীতিগতভাবে মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। তবে এতে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। যদি এসব দেশ (তালিকাভুক্ত দেশ) কোনো সংঘাতের শিকার হয়, তা হলে ভিন্ন দৃষ্টান্ত হবে। তবে তা ইউক্রেনের মতো নয়।

এর আগে ২০১৫ সালেও ইইউ একই ধরনের তালিকা উপস্থাপন করেছিল। তবে তুরস্ককে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের কারণে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়।

কমিশন জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত তালিকাটি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রসারিত বা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। যেসব দেশ থেকে বর্তমানে বেশি সংখ্যক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন এসেছে, তা দেখে তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে।

ইইউ’র বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আশ্রয়ের বিষয়ে ‘নিরাপদ’ বলে মনে করা দেশগুলোকে মনোনীত করেছে। উদাহরণস্বরূপ ফ্রান্সের তালিকায় মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইইউ’র প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে- নীতিগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং সব সদস্য রাষ্ট্রের যে একই ভিত্তিরেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত করা।

ইইউ’র দেশগুলো নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকায় নতুন রাষ্ট্র যোগ করতে পারে, কিন্তু তা থেকে বাদ দিতে পারে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সেঞ্চুরি থেকে ৪ উইকেট দূরে তাসকিন
শ্রীলংকাকে হারিয়ে সুপার ফোরের পথে একধাপ এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ
পটুয়াখালী উপকূলে ধরা পড়েছে বিরল ‘তবলা মাছ’
সিএমপি স্কুলের ২৭ শিক্ষার্থী পেলো পুনাক মেধাবৃত্তি
ঝিনাইদহে পরিবেশ রক্ষায় তালের বীজ রোপণ
নওগাঁয় কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও ১২ সদস্য গ্রেফতার
নাটোরে চলনবিলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বসতি স্থাপন পরিকল্পনার নিন্দা জানালেন তারেক রহমান
১০