আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি এবং নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাসস
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ১৭:০৯ আপডেট: : ১২ মে ২০২৫, ১৭:১৭
সোমবার যুমনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জলবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সড়ক সংযোগের মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।

ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফররত নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনুস যৌথ অবকাঠামো ও জ্বালানি উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত। আলাদাভাবে নয়, একসাথে কাজ করলেই আমরা আরও বেশি লাভবান হতে পারব।’

আলোচনার মূল বিষয়গুলোর একটি ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা। গত অক্টোবরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা। উভয় পক্ষ বৃহৎ পরিসরে আরও জলবিদ্যুৎ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রংপুরে নির্মাণাধীন এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের রোগীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং যৌথ সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি।’

ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা বলেন, নেপাল সকল খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চান। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী বিশেষত মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং আরও শিক্ষা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

উভয় পক্ষ অবকাঠামোগত সংযোগ বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের খরচ হ্রাস পাবে এবং মানুষ ও পণ্যের চলাচল সহজ হবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেডআরএফ’র জনসচেতনামূলক প্রচারপত্র বিতরণ 
তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার আহবান
তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন নাগরিকেরা 
রাঙ্গুনিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২
নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে বাংলাদেশের অপরিবর্তিত দল ঘোষণা
গোপালগঞ্জের পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান সেনাবাহিনীর
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুকুরঘাটে পুঁতে রাখা অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১
হারিয়ে যাওয়া ৫০টি মোবাইল সেট মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ
নগর উন্নয়নে কাজ করা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পদক দেবে ডিএনসিসি
১০