ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে পর্যবেক্ষণ মিশন প্রেরণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আট সদস্যের নির্বাচনী তথ্য-অনুসন্ধানী দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে তারা বৈঠক করেন।
এর আগে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ইসির সভাকক্ষে ইসি সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২) মো. মঈন উদ্দীন খানের নেতৃত্বে ইসির চার কর্মকর্তার সঙ্গে তারা বৈঠক করেন।
আট সদস্যের ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র ইলেকশন এক্সপার্ট রিকার্ডো সেলেরি।
বৈঠক শেষে ইসি ও ইইউ প্রতিনিধি দলের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইইউ নির্বাচনী তথ্য-অনুসন্ধানী দল মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনের পরিবেশ, ইসির প্রস্তুতি ও সক্ষমতা, এবং ইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে কি না-এসব বিষয়ে জানতে চায়। তারা নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এরপর তারা রংপুর ও চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মাঠপর্যায়ের অবস্থা জানার জন্য। এ বিষয়ে তারা নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে নিজ নিজ হেডকোয়ার্টারে প্রতিবেদন পাঠাবেন।
ইসির কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সার্বিক পরিবেশ পর্যালোচনা করে ইইউ বাংলাদেশে পর্যবেক্ষণ মিশন প্রেরণ করবে।
তারা আরও জানান, ইইউ প্রাক-নির্বাচনী তথ্য-অনুসন্ধানী দল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছে। পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী তথ্য-অনুসন্ধানী দলের সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সময়ে ইইউ বাংলাদেশে সম্ভাব্য পর্যবেক্ষণ মিশন প্রেরণের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল ২২ সেপ্টেম্বর ইসি কার্যালয়ে আসবেন। তারা একজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিনে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হবে।
তিনি জানান, এ বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটের আগে সারা দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ধরনের বৈঠক দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সহায়তা করবে।