ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর বংশাল এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মো. সুমন রাব্বি (৪০), মো. আকরাম হোসেন ওরফে আকমল (৪৫), মো. আমিন (৪৫), মো. ওসমান গনি (৩০), মো. রাজু আহম্মেদ (৫১), মো. আব্দুল নূর (৩৫), মো. ইব্রাহিম ওরফে সুমিত (২০) ও একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই তথ্য জানান।
বংশাল থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২ টায় বংশাল থানাধীন সাতরওজা আগাসাদেক রোডস্থ ‘আজমেরী দাওয়াখানা’য় ভেজাল ওষুধ বিক্রির খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে বংশাল থানা ও সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মো. সুমন রাব্বি ও মো. আকরাম হোসেন ওরফে আকমলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, একটি মোটর সাইকেল, ৭৫১ বোতল ভেজাল ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির নগদ ৪৭ হাজার ৯৩৯ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই রোডের ‘তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানা’য় অভিযান চালিয়ে মো. আমিন, মো. ওসমান গনি, মো. রাজু আহম্মেদ, মো. আব্দুল নূর, মো. ইব্রাহিম ওরফে সুমিত ও একজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকে পাঁচটি মোবাইল, নগদ ৫২ হাজার টাকা, ৩৪৪ বোতল ভেজাল ওষুধ, ৪০টি খালি বোতল ও ২০০ মিলি লিটারের ৮৮ প্যাকেট পাস্তুরিত ফ্লেভার্ড মিল্ক জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় বংশাল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানা সূত্র আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা এসব ভেজাল ওষুধ সংগ্রহ ও বিক্রয় করছিলো। তারা এসব ওষুধের সপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।