ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।’
তিনি বলেছেন, ‘তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও ভাবনা কাজে লাগিয়ে রাজনীতি ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন এবং তা জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সংযুক্ত করা। লাখ-লাখ মানুষের সরব উপস্থিতিতে এবং তরুণদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচিগুলো অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
যুবদল সভাপতি বলেন, কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও সমর্থনের জন্য আমরা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ-বিশেষ করে তরুণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দল-মত-শ্রেণি ও পেশার পার্থক্য ভুলে যে ঐক্য, সাহস ও সচেতনতা জনগণ দেখিয়েছে তা আমাদের এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে নতুন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
এ সময় ঢাকা ও অন্যান্য শহরে তারুণ্যের উত্তাল তরঙ্গে লাখ-লাখ মানুষের উপস্থিতির ফলে নগরবাসীর যে সাময়িক দুর্ভোগ হয়েছে, বিশেষ করে যানজটের কারণে, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন যুবদল সভাপতি।
মুন্না বলেন, দেশজুড়ে কর্মসূচির মাধ্যমে শুধু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি জাতীয় ঐক্যের ইঙ্গিত পাইনি, বরং স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি নতুন প্রজন্মের সেই লড়াইয়ের পুনর্জাগরণ-যেখানে তরুণরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় আবারও সংগঠিত হচ্ছে, কথা বলছে এবং নিজ অবস্থান থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা জানে ভোটাধিকার শুধু ভোট দেওয়ার বিষয় নয়-এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের শক্তি। এই জাগরণই একদিন একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং উদার রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করবে।
তরুণদের ভোটাধিকার হরণ আজও একটি জাতীয় সংকট উল্লেখ করে মুন্না বলেন, ‘এটি শুধু একটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নয়, বরং একটি প্রজন্মকে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের মৌলিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার নিষ্ঠুর উদাহরণ।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর ৭ মাস ছাত্রশিবির আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনের সঙ্গে ছিল, আত্মগোপনে ছিল। তাদের মোনাফেকির রাজনীতিকে দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মুরুব্বি সংগঠন কোনো নির্বাচন চায় না, কিন্তু নির্বাচন বাধ্যতামূলক। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’