ঢাকা, ২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক সামগ্রিক বর্জ্য শোধনাগার কেন্দ্র (সিইটিপি) নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানায়, অভিযানকালে টিম বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় বর্ণিত প্রকল্প সম্পাদনকালে (১) বারবার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন, (২) প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি (৩) কার্যাদেশ প্রদানে অনিয়ম হয়েছে বলে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিস্তারিতরূপে বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে পিএনএন শিপিং লাইন্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুয়া ইনভয়েস তৈরি করে বিদেশে অর্থপাচারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট চালানো হয়। অভিযানকালে বর্ণিত শিপিং লাইনের অফিস এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি, নিউ মার্কেট শাখা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া অভিযোগের সংশ্লেষে কোম্পানিটির স্মারকনিবন্ধন এবং পরিপত্র নিবন্ধন, সিটি ব্যাংক পিএলসি কর্তৃক অনুমোদিত ঋণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সকল তথ্যাবলি বিশ্লেষণপূর্বক টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার উত্তর রমজানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। সরেজমিন পরিদর্শন, নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্ণিত ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে একই পদের জন্য ২টি ভিন্ন ফলাফল তালিকা তৈরি করা হয়, যাতে ২ জন ভিন্ন ব্যক্তিকে মেধা তালিকায় প্রথম হিসেবে দেখানো হয়েছে।
নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক ২টি তালিকায় তাদের স্বাক্ষরের বিষয়টি স্বীকার করলেও দুদক টিমের নিকট এর কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এছাড়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক কর্তৃক দাখিলকৃত বিএড সনদ জালিয়াতির অভিযোগের অংশ হিসেবে টিম সত্যায়িত সনদ সংগ্রহ করেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হবে। অভিযানের প্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।