ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পূর্ব শত্রুতার জেরে শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানা এলাকার দেলোয়ার হোসেন সরদার (৩০) নামে এক যুবককে হকস্টিক ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জুয়েল সরদার, রেজাউল সরদার, আমিনুল সরদার, ইসমাইল সরদার ও ছালমুন সরদার।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক হালিম উল্যাহ চৌধুরি এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর দিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকী ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের ট্রাইব্যুনালের কৌঁশলি গিয়াস উদ্দিন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সৈয়দ নাজমুল হুদা ও আতিয়ার কাজী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার আসামিদের সঙ্গে মামলার বাদী আব্দুস সালাম সরদারদের (৫৭) দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। শত্রুতার জেরে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই বাদীর বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন সরদার ও মেঝো ছেলে দুলাল সরদার শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার সুবচনী বাজার হতে অটোবাইকযোগে বাড়ীতে ফেরার পথে আসামিরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে অটোবাইক গতিরোধ করে। এরপর আসামিরা দেলোয়ার ও দুলালকে অটোবাইক থেকে টেনে- হেচে নামিয়ে হকিস্টিক ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে তাদের আঘাত করে। এসময় দেলোয়ার হোসেন সরদারকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে আনা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই দেলোয়ার হোসেন সরদারের বাবা আব্দুস সালাম সরদার বাদী হয়ে শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ নং আদালতে পাঠানো হয়। মামলার বিচার চলাকালে এক আসামি মারা যাওয়ায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলে। মামলার চলাকালে ৩১ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।