চট্টগ্রাম নগরীতে অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটলে আইনানুগ ব্যবস্থা : চসিক মেয়র 

বাসস
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫৫
ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম নগরীতে ওয়াসার ঠিকাদাররা অনুমতি ছাড়া রাস্তা কেটে জনভোগাান্তি সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চসিকের বিভাগীয় সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। 

ওয়াসার কারণে সৃষ্ট নগরীর দুর্ভোগ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, “ওয়াসা সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা কাটছে। এতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ নষ্ট হচ্ছে এবং জনগণের কষ্ট বাড়ছে। কোন সড়ক টেন্ডারের আওতায় আছে বা নতুন করে নির্মাণ হবে, তার তালিকা আমরা দেব। সেই সড়কগুলোতে কোনোভাবেই কাটাকাটি করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া রাস্তা কাটলে চসিক তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেবে। সড়কে খনন করলে ওয়াসাকে প্রতিটি সড়ক হস্তান্তরের আগে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে- কোথায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং সংস্কারে আসল খরচ কত লাগবে। অন্যথায় একতরফাভাবে দায়ভার নেবে না চসিক।

মেয়র আরো বলেন, ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজের কারণে নগরীতে যে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তা আমরাও লক্ষ্য করছি। ওয়াসার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তারা ৯৩ কিলোমিটার সড়ক কেটেছে এবং এর মধ্যে ৪৮ কিলোমিটার সড়ক খননের পর সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। এজন্য সংস্কারের ব্যয় বাবদ চসিককে ৮২ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সংস্কার করছে না। কিন্তু তারা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছে তার ২ থেকে ৩ গুণ খরচ করে সিটি কর্পোরেশন থেকে সড়ক সংস্কারে কাজ করতে হয়। অনেক জায়গায় আমরা নতুন রাস্তা শেষ করার পরই ওয়াসা আবার সেখানে খনন কাজ শুরু করেছে। এতে জনগণের কষ্ট বাড়ছে, আর কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ নষ্ট হচ্ছে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর ভাঙা রাস্তা ও গর্তগুলো দ্রুত প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। চলমান উন্নয়ন কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি রাস্তার সঙ্গে কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে যাতে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে রাজস্ব বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যারা ব্যবসা করবে তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। কোনো অজুহাতে ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে চট্টগ্রাম নগরীতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ ট্রেড লাইসেন্স থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে আছে মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো। 

শীঘ্রই চট্টগ্রাম বাসীর জন্য ‘আমার চট্টগ্রাম’ নামে একটি অ্যাপস চালু করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এই অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকরা যেকোনো সময় কোথায় ময়লা পড়ে আছে ছবি তুলে ময়লার অবস্থান জানাতে পারবেন। এতে করে আমাদেরও পরিষ্কার কার্যক্রম সচল রাখতে সুবিধা হবে। একইসাথে কোথায় সড়ক গর্ত আছে, কোথায় কি সমস্যা রয়েছে তা ছবি তুলে সাথে সাথে আমাদের কাছে পাঠাতে পারবেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা  ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণ শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চায় : গোলাম পরওয়ার
নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস দুর্ঘটনায় ১৯ নারী ও শিশু নিহত
আমরা জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত: সালাহউদ্দিন আহমেদ 
দুধ আমদানি কমাতে সারাদেশে চিলিং পয়েন্ট স্থাপন করা হবে : ফরিদা আখতার
ভারতে হাসিনা-এস আলম গ্রুপের প্রধানের বৈঠক নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ 
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ইজি বাইকে পূর্ণ যাত্রী বহন করলে যানজট কমবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে : গবেষণা
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার
কাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে প্রথম রিলিজ স্লিপের ফল প্রকাশ
গণতন্ত্র ও লিঙ্গসমতার ওপর গুরুত্বারোপ তারেক রহমানের
১০