ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা না গেলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ‘দেশের ধনিক শ্রেণি দুর্নীতির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। এই দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, আর একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ফুলে ফেঁপে উঠছে।’
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আবদুল মঈন খান এ কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বীমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক খাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। এই টাকা দিয়ে ১০০টি পদ্মা ব্রিজ তৈরি করা যেত।
তিনি বলেন, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেই টাকা বাংলাদেশের ৫ বছরের ৫টি বাজেটের সমতুল্য। এগুলো কার টাকা লোপাট করেছে? এই দেশের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের টাকা। আওয়ামী লীগের টাকা না।
গণতন্ত্রই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়-উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রটাই কিন্তু আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্য কিছু, যেটা গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পারি। অর্থাৎ, গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের মেকানিজম। সেই মেকানিজমের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের যে জীবনধারণ পদ্ধতি সেটাকে সুন্দর করে তুলতে চাই, সেটাই হচ্ছে আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, তারা একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চান, যেখানে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বসবাস করবে।
ড. মঈন আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সৎ ও আদর্শবান নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অসততার অভিযোগ আওয়ামী লীগও কোনোদিন আনতে পারেনি। তার সততা ছিল প্রশ্নাতীত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উন্নয়নই টেকসই হতে পারে না।