ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট আজ তিনটি পৃথক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারা দেশে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক লেনদেন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যাদেশ প্রদানে অনিয়ম ও ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদক, জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের এনফোর্সমেন্ট টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে এবং প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। দেখা যায়, ৩০ লাখ টাকার গেস্ট হাউস মেরামতের কার্যাদেশ ৫ ধাপে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আরএফকিউ পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়েছে। একটি বিল ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হলেও বাকি রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেয়া হবে।
এদিকে ঢাকায় এনআইডি তথ্য পাচার মামলা ও ব্যাংক লেনদেন তদন্ত এনআইডি তথ্য পাচার মামলার আসামিকে সচিব পদে নিয়োগ, শতকোটি টাকার অবৈধ চুক্তি ও অস্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আরেকটি অভিযান চালায়। টিম ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তিনটি শাখা থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট চেকের মালিকানা, হিসাব লেনদেনের তথ্য ও স্থিতি সংগ্রহ করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য ব্যাংকসমূহে চাহিদাপত্র দেয়া হয়। প্রাসঙ্গিক রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
এ ছাড়া রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের হয়রানি, দুর্নীতি ও সেবা ব্যাহত করার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। তদন্তে পাওয়া যায় যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি কাঁচা রশিদে আদায় হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা করা হচ্ছে না। দালালের মাধ্যমে রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠানো হয় এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ছিল অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। রোগীরা পচা-বাসি খাবার ও ডাক্তার-স্টাফদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। আংশিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। বিস্তারিত প্রতিবেদন পরে কমিশনে দাখিল করা হবে।