ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব খাতভুক্ত নিয়মিত পদে নিয়োজিত স্থায়ী কর্মচারীদের জন্য ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অবসরভাতা ও অবসরজনিত সুবিধাদি পরিকল্পমালা, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ/১৪৩২ বঙ্গাব্দ’ নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটি।
সোমবার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত নবম কর্পোরেশন সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিসহ পরিচালনা কমিটির ২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভা শুরু হয় ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত অষ্টম কর্পোরেশন সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে। এরপর আলোচ্য সূচির প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ‘অবসরজনিত পেনশন ও আনুতোষিকের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীগণের পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০’ এবং ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯’-এর আলোকে প্রণীত পরিকল্পনামালা নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়।
পরিকল্পনামালায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিক নিরাপত্তা, এককালীন ভাতা, চিকিৎসা সহায়তা এবং পরিবারের জন্য মৃত্যুকালীন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া এ নীতিমালা এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে।
সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে সড়ক খাতে মোট ১৪৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে সড়ক মেরামত, ড্রেন উন্নয়ন, ফুটপাত সংস্কার এবং জনসাধারণের চলাচল সহজীকরণের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া, ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বিশেষ কল্যাণ নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে অবসরকালীন বিদায় সুবিধা হিসেবে এককালীন ৪ লাখ টাকা প্রদান এবং চাকরিকালীন মৃত্যু হলে দাফন বা সৎকারের জন্য ১০ হাজার টাকা ও মৃত কর্মীর পরিবারকে এককালীন ৩ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
সভায় প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানিতে রাস্তার সংস্কার দীর্ঘস্থায়ী হয় না। প্রলম্বিত বর্ষণের কারণে সড়ক উন্নয়ন কিছুটা ব্যাহত হলেও জনগণের ভোগান্তি কমাতে এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়ক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।