
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানে পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক জানায়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পদ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান এবং বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রদান প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে অফিস পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। প্রাথমিক যাচাইয়ে কিছু অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হয়।
এদিকে, টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি এবং দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করার অভিযোগে অন্য একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ছদ্মবেশে সেবাপ্রত্যাশী সেজে অফিসের সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। এসময় অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালি করার অভিযোগে চার জন দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সম্মুখে আসামিরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায়, দণ্ডবিধির ১৬০ ও ২৯১ ধারার বিধানমতে তাদের মধ্যে ৩ জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য ১ জনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে আসামিদের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় দোকানদারদের দালালি কাজে সম্পৃক্ততার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ১ দোকান মালিককে ২০ হাজার টাকা এবং অন্য ১ দোকান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, জরিমানা অনাদায়ে উভয়ের বিরুদ্ধে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়া, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতন প্রদান না করে হয়রানি এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে জানা যায় যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নতুন নিয়োগ না হওয়ায় পূর্বের কর্মচারীরা গত ৫ মাস ধরে বিনা-বেতনে কাজ করছেন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিয়োগ-সম্পর্কিত টেন্ডার রেকর্ডে প্রাথমিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়াশরুমে লাইট না থাকা ও ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থা এবং মোট ৮টির মধ্যে মাত্র ৩টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম চালু থাকার বিষয়টি টিম লক্ষ্য করে। এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ করা হয়।
অভিযানসমূহে প্রাপ্ত তথ্যাবলি, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।