ঢাকা, ৬ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাল ভ্যালেন্সিয়ার কাছে লা লিগায় ২-১ গোলের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের পরাজয়ের দিনে নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাও। ক্ষিপ্ত রিয়াল বেটিসের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা।
এই ড্রয়ে রিয়ালের থেকে চার পয়েন্টে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কাতালান জায়ান্টরা। এ সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এ্যাওয়ে ম্যাচে দুই দলই মাঠে নামছে। মঙ্গলবার রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনাল, পরের দিন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বার্সেলোনা।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সাত মিনিটে গাভির গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাত্র ছয় গজ দুর থেকে গাভি বেটিস গোলরক্ষক আদ্রিয়ানকে পরাস্ত করেন।
কিন্তু এরপর স্বাগতিকরা বেশ কিছু আক্রমন করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। তার পরিবর্তে ১৬ মিনিটে গিওভানি লো সেলসোর কর্ণার থেকে নাতান সুজার কাটব্যাকে সমতায় ফিরে বেটিস।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা বেটিসের আক্রমন বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল। মাঝে মাঝে তারাও এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আদ্রিয়ানের দৃঢ়তায় বার্সেলোনাকে বারবার হতাশ হতে হয়েছে। ৮৮ মিনিটে বার্সা গোলরক্ষক ওজিচে সিজিসনি নাতানের দুরপাল্লার শট রুখে না দিলে তখনই হয়তো এগিয়ে যেতে পারতো বেটিস।
এই ড্রয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বেটিস।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘লা লিগা খুবই জটিল, কিন্তু আমাদের লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ম্যাচের শেষ ভাগে আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম। যে কারনে কাউন্টার এ্যাটাকে গোল হজম করতে হয়েছে। ম্যাচে আমরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছি, কিন্তু তা খুব কমই কাজে এসেছে।’
এই জয়ে ভ্যালেন্সিয়া টেবিলের ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে। তলানির তিনটি দল থেকে তারা সাত পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে।
১৩ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার সিজার টারেগার বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু স্পট কিক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট রুখে দেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক গিওর্গি মামারডাশভেলি। রিয়ালের হয়ে এনিয়ে টানা দুটি পেনাল্টি মিস করলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এর আগে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পেনাল্টি মিস করেছিলেন ভিনি।
মিনিটখানেকের মধ্যে কর্ণার থেকে মুক্তার দিয়াখাবি দারুন এক হেডে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন। ৫০ মিনিটে কর্ণার থেকে এবার আর কোন ভুল করেননি ভিনিসিয়াস। রিয়ালের জার্সি গায়ে এটি ছিল তার ১০৪তম গোল। ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রোনাল্ডোকে এর মাধ্যমে স্পর্শ করেছে ভিনি।
পুরো ম্যাচে এমবাপ্পে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৩৬, ৩৭, ৪৯ ও ৬৮তম মিনিটে যে সুযোগগুলো এমবাপ্পে পেয়েছিলেন তাতে তার গোল করা উচিৎ ছিল। যদিও এর পিছনে ভ্যালেন্সিয়ার জর্জিয়ান গোলরক্ষক মামারডাশভেলির দক্ষতাও দায়ী।
ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তে কাউন্টার এ্যাটাকে রাফা মিরের ক্রস থেকে ডুরো দারুন এক গোলে ভ্যালেন্সিয়াকে জয় উপহার দেন।