২০১৩ ও ২০১৮ স্মৃতি ফেরানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

বাসস
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১৩ আপডেট: : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১৭

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : জিম্বাবুয়ে কাছে প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজ হারের লজ্জা এড়াতে হলে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে জিততেই হবে টাইগারদের। 

সিরিজের শুরুতে পিছিয়ে পড়েও, সমতায় শেষ করার সমীকরণ মেলানো বাংলাদেশের কাছে নতুন কিছু নয়। অতীতে দু’বার জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে, সিরিজ সমতায় শেষ করতে পারে টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সিরিজের শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। 

২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ৩৩৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। হারারে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা ফুটে উঠেছিল। দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ৩৮৯ ও ৭ উইকেটে ২২৭ রানের জবাবে ১৩৪ ও ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। 

সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জ্বলে উঠে বাংলাদেশ। ব্যাটার-বোলারদের পারফরমেন্সে ১৪৩ রানে ম্যাচ জিতে টাইগাররা। সাকিব আল হাসানের ৮১, নাসির হোসেনের ৭৭ ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ৬০ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রান করে সফরকারীরা। 

এরপর পেসার রবিউল ইসলাম ও স্পিনার সোহাগ গাজীর বোলিং তোপে ২৮২ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। রবিউল ৫টি ও সোহাগ ৪ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংস থেকে ১০৯ রানের লিড পায় টাইগাররা। বড় লিড সাথে নিয়ে ৯ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়েকে ৪০১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার অনবদ্য ১১১ রানের পরও ২৫৭ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৩টি ও জিয়াউর রহমান ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের হয়ে মুশফিক ৯৩, নাসির অপরাজিত ৬৭ ও সাকিব ৫৯ রান করেন। ম্যাচ সেরা হন মুশফিক। পিছিয়ে পড়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। 

২০১৮ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেই ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৩ ও ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে আরিফুল হক সর্বোচ্চ ৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। 

মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট-বল হাতে ভিন্ন এক বাংলাদেশকে দেখা যায়। ব্যাটার-বোলারদের অসাধারণ নৈপুন্যে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ২১৯ ও মোমিনুল হকের ১৬১ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। 

জবাবে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলামের ৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ৩ উইকেটে ৩০৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এতে ২১৮ রানের বড় লিড পায় টাইগাররা। 

এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংসের কল্যাণে ৬ উইকেটে ২২৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৪৪৩ রানের টার্গেটে ২২৪ রানে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয়। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৫ উইকেট নেন। ২০১৩ সালের পর আবারও সিরিজে পিছিয়ে পড়ে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল টাইগাররা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে ইসির গেজেট প্রকাশ
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল থেকে উৎখাত হয়নি ইউক্রেন : দাবি জেলেনস্কির
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করে বিচার দাবি মামুনুল হকের
জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের বুকশেলফ প্রদান
সেবা নিশ্চিত ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক অভিযান
ট্রাম্পের হুমকিকে অসম্মানজনক বললেন গ্রিনল্যান্ডের নেতা
ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
শহীদকন্যা লামিয়ার খুনিদের মৃত্যুদণ্ড চান সারজিস
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দরকার কার্যকর, টেকসই ব্যবস্থাপনা 
বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে করণীয় সম্পর্কে ব্লাস্টের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
১০