ঢাকা, ২৬ জুন ২০২৫ (বাসস) : আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনার্স বোর্ড চালু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত খেলা প্রত্যেক টেস্ট ক্রিকেটাদের নাম অনার্স বোর্ডে আছে।
টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিসিবি। ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। ঐ বছরের ১০ নভেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলতে নামে টাইগাররা।
আকরাম খান থেকে শুরু করে হাবিবুল বাশার সুমন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানসহ অন্যান্য ক্রিকেটারের নামও অনার্স বোর্ডে আছে। এছাড়াও নাঈম হাসান-নাহিদ রানার মত বর্তমান সময়ে ক্রিকেটারদের নামও অনার্স বোর্ডে আছে।
খেলোয়াড়দের নাম, অভিষেকের সময় এবং টেস্ট ক্যাপ নম্বরের তথ্য অনার্স বোর্ডে খোদাই করা আছে। অনার্স বোর্ডের পাশে একটি স্মারক ক্যাবিনেটও করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে জয় করা সব ট্রফি ক্যাবিনেটে রাখা হয়েছে।
অনার্স বোর্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। এ সময় বিসিবি সভাপতি, সাবেক খেলোয়াড় এবং বিসিবির অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা। দেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ ছিল এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভ দিনে উপদেষ্টা ঘোষণা করেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেট কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য ১০০টি স্কুলে ১০০টি টার্ফ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে, স্কুলগুলোতে টার্ফ স্থাপন করা হয়েছে। বিসিবির সহায়তায় আমরা এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করব।’
এদিকে, অনুষ্ঠান চলাকালীন নিজেদের বক্তব্যে টেস্ট মর্যাদা এবং উদ্বোধনী টেস্টের স্মৃতি স্মরণ করেন ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশজুড়ে বিভিন্ন ইভেন্ট চলমান আছে। বর্তমানে বিভাগীয় শহরগুলিতে অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স-এ-সাইড টুর্নামেন্ট চলছে। পাশাপাশি কমেন্টারি বুথ এবং গুড উইশ বোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি আগামী শনিবার শেষ হবে।
দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রজতজয়ন্তী উদযাপনের দু’টি কারণ আছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট দলের সদস্য ও দেশের অভিষেক টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান এবং বিসিবি সভাপতি আমিনুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা দু’টি কারণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। একটি হলো টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদযাপন করা। অন্যটি হলো দেশের অনেক জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল। তাদের সবাইকে জাগিয়ে তোলা। আমরা এটি খুব সফলভাবে করতে পেরেছি।’