ঢাকা, ১২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ফিটনেসের উন্নতির জন্য ক্রিকেটারদের আগ্রহ দেখে খুশি বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি। ফিটনেস লেভেল বিশ্বমানের করার জন্য ক্রিকেটাররা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও কঠোর পরিশ্রম করছে বলে জানান তিনি।
কেলি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের অগ্রগতি দেখে আমি সত্যিই খুশি, বিশেষভাবে তরুণদের। তারা উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধুমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে নয়, অ্যাথলেট হিসেবে উন্নতি করতে চায় তারা।’
কেলি আরও বলেন, ‘ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার মনে হয়, আজও সেটির প্রমাণ দেখা গেছে। আমাদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প ক্রিকেটারদের জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। যদি কেউ মনে করে এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল না তাহলে স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের সাথে একদিন এসব করার জন্য।’
আগামী মাসে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের গরমের সাথে মানিয়ে নিতে ক্রিকেটাররা শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকবে।
তবে ফিটনেস ক্যাম্পের জন্য কম সময় থাকায়, এটিকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন কেলি। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো শারীরিক কাজ বড় পরিসরে করার সুযোগ বের করা। ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৫ সপ্তাহের মতো প্রাক-মৌসুম থাকে। আমাদের ছোট ছোট উইন্ডো থাকে। কাজেই যখনই সুযোগ মেলে শারীরিক কাজগুলো করার নিয়মিত চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকতে হয় আমাদের।’
সময় কম হলেও ক্রিকেটারদের ফিট করে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন বলে জানান কেলি।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই কম সময় পেয়েছি। এই সুযোগে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত করে তোলার জন্য।’
অতীতে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মূল্যায়নের জন্য ইয়ো-ইয়ো ও বিপ পরীক্ষা ব্যবহার করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে ঐ পরীক্ষাগুলো বাদ দিয়ে আরও আধুনিক এবং সহজবোধ্য ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়ালে দৌড়ের পরীক্ষা নিয়েছেন কেলি।
টাইম-ট্রায়াল পরীক্ষা বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেলি বলেন, ‘এটার ফল নিয়ে কম বির্তক হয়। আমি টাইম ট্রায়াল পছন্দ করি কারণ এটি সহজ এবং এ জন্য কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। এটি যেকোন জায়গায় করা যায়। সেটি ক্রিকেট মাঠ বা এ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক হোক।’
জাতীয় দলের এবং ঘরোয়া খেলোয়াড়দের জন্য টাইম ট্রায়াল পরীক্ষাই আদর্শ বলে মনে করেন কেলি। তিনি বলেন, ‘এটি সহজলভ্য এবং এখানে ফলাফল নিয়ে বিতর্ক কম হয়। ইয়ো-ইয়ো বা বিপ পরীক্ষায় খেলোয়াড়রা কখনও কখনও অল্প সময়ের জন্য পিছিয়ে যায়। কিন্তু টাইম ট্রায়ালের মাধ্যমে ঘড়ি মিথ্যা বলে না।’
তিনি বলেন, ‘ইয়ো-ইয়ো এবং বিপ টেস্টে যারা পারদর্শী তারা টাইম ট্রায়ালেও ভাল করে। আর যারা ভাল করতে পারে না তারা সব পরীক্ষাতেই একই রকম হয়ে থাকে। তাই আমরা এখান থেকে ভালভাবে বুঝতে পারি যে, কে ফিট এবং কার আরও পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে।’