ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৭তম আসরের মিশন শুরু করবে ভারত। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে সুবিধা কাজে লাগিয়ে এশিয়া কাপের শুরুটা জয় দিয়ে করতে মরিয়া আরব আমিরাত।
দুবাইয়ে ভারত-আরব আমিরাত ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত আসরের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড অষ্টমবারের মত শিরোপা ঘরে তোলে ভারত।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এর আগে দুইবার এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই আসরের মধ্যে একবার শিরোপা জিতেছিল ভারত। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগারদের ৮ উইকেটে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
টানা দ্বিতীয়বারের মত এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ে চোখ ভারতের। দলের বোলিং কোচ মরণে মরকেল বলেন, ‘শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এবারের এশিয়া কাপ শুরু করব। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের জন্য মাঠে সেরাটা উজার করে দিতে প্রস্তুত ছেলেরা।’
শিরোপা ধরে রাখার পাশাপাশি আগামী বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও এশিয়া কাপ দিয়ে সারতে চায় ভারত। মরকেল বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মেগা ইভেন্টের প্রস্তুতির জন্য এশিয়া কাপ খুবই ভাল একটি প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চাই আমরা।’
অন্যদিকে, এশিয়া কাপ মঞ্চে আরব আমিরাতের রেকর্ড মোটেও ভালো না। এখন পর্যন্ত ৩ আসরে অংশ নিয়ে ৮ ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি আরব আমিরাত। তবে এবারের আসরে অতীত ইতিহাস পাল্টে ফেলতে চায় তারা।
দলের অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, ‘এশিয়া কাপের মঞ্চে এবারের আসরেই প্রথম জয়ের কীর্তি গড়তে উদগ্রীব আমরা। আমরা এবার ইতিহাস বদলাতে চাই। আমি আশাবাদী, এবার দল ভাল কিছু করতে সক্ষম ।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-আরব আমিরাত। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ঐ ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।
সদ্য ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোই হেরেছে আরব আমিরাত।
ভারত : সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদ্বীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হরষিত রানা, রিংকু সিং।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : মুহাম্মদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), আলিশান শারাফু, আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), আসিফ খান, ধ্রুব পারাশার, ইথান ডি’সুজা, হায়দার আলি, হরষিত কৌশিক, জুনায়ের সিদ্দিকি, মতিউল্লাহ খান, মুহাম্মদ ফারুক, মুহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ, মুহাম্মাদ জোহাইব, রাহুল চোপরা (উইকেটরক্ষক), রোহিদ খান, সিমরানজিত সিং, সগির খান।