রাঙ্গামাটির কাঠালতলী ফিসারী সংযোগ সড়ক বাঁধে নতুন পর্যটন স্পট

বাসস
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৬
ছবি: বাসস

মনসুর আহম্মেদ

রাঙ্গামাটি, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পর্যটন শহর রাঙ্গামাটির কাঠালতলী ফিসারী সংযোগ সড়ক বাঁধের পাশে নির্মিত হচ্ছে একটি আধুনিক ওয়াকওয়ে ও সৌন্দর্যবর্ধন গার্ডেন। কাজ চলমান থাকলেও ইতিমধ্যে কাপ্তাই লেকবেষ্টিত সংযোগ সড়কের সৌন্দর্য্য অনেকটাই ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন ফুলসহ নানা প্রজাতির গাছ ও আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের কারণে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে সংযোগ সড়কটি। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত অব্দি 
পর্যটকসহ স্থানীয়রা পরিবার পরিজন নিয়ে এ সংযোগ সড়কে সময় কাটান।

রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি সড়কের অপর পাশে একটি রিটেইনিং ওয়াল (প্রতিরক্ষা দেয়াল) নির্মাণেরও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ চলছে। চলমান এ প্রকল্পের কাজ শেষে বাঁধের অপর প্রান্তটিও নতুনভাবে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রকল্প নেয়া হবে।

তিনি জানান, এ সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনি পর্যটকরাও আকৃষ্ট হবেন। একইসাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এটি হবে হাঁটা ও জগিং করার এক মনোরম স্থান। প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে আছে এবং আগামী দুই এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কাঠালতলী সংযোগ সড়কে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. সাইফুল আলম জানান, নতুন দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়েছে। এ ধরনের আরো নতুন নতুন স্পট তৈরি করে রাঙ্গামাটিকে আরো রাঙানোর পরামর্শ দেন তিনি।

এ প্রকল্পটির মূল ভিত্তি গড়ে উঠেছে পূর্বে বাস্তবায়িত একটি নদীভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের ওপর। কাপ্তাই হ্রদের নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দশ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় কাঠালতলী ফিসারী সংযোগ বাঁধ। এর ফলে সড়কের এক পাশে বিশাল একটি জায়গা সম্প্রসারিত হয়। এ সম্প্রসারিত স্থান যেন অবৈধ দখলে চলে না যায়, সে লক্ষ্যে সওজ বিভাগ তাদের নিজস্ব মেইন্টেনেন্স ফান্ড থেকে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয়। সওজের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে ইতোমধ্যেই এ সড়ক বাঁধ এলাকা রাঙ্গামাটি শহরবাসীর মাঝে এক নতুন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে আসছেন। স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই জায়গাটা শহরের মানুষের জন্য এক নতুন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, আমরা খুবই খুশি।’

এ প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু শহরের অবকাঠামোই নয়, রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পে দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যে ভাবে উন্নয়ন করছে, তেমনি এখানকার অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থা পরিকল্পিতভাবে যদি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে তাহলে এগিয়ে যাবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে মানবতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান : মানবাধিকার কনভেনশনে বক্তারা
সিআইডির ছায়া তদন্তে ডাকাতির রহস্য উদঘাটন ও ডাকাত সর্দার গ্রেফতার
শহিদুল আলম বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক : প্রধান উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে আইএমও’র মহাসচিবের বৈঠক
ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হলো  দুই দিনব্যাপী  জাতীয় বিতর্ক উৎসব
আইনজীবী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে পিরোজপুর জেলা বিএনপির মতবিনিময়
ডিএমপির বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেফতার
কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে গত চার দিনে ডিএমপির ৫,০৯৯টি মামলা
মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে : ধর্ম উপদেষ্টা
১০