ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে সোমবার ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মস্কোর যুদ্ধ চালানোর অর্থায়নের বড় উৎস হিসেবে রুশ তেল কেনাকে চিহ্নিত করে তিনি এই পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
যদিও নয়াদিল্লি ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পদক্ষেপটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক। তারা নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের তিন বছরের বেশি সময় পরও শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি হয়নি। একারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহে এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বৈঠকের কথা রয়েছে।
ট্রাম্প সোমবার তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া পোস্টে লেখেন, ‘ভারত বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান তেল কিনছে এবং তা থেকে বিশাল মুনাফা করছে। রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রের কারণে ইউক্রেনে কত মানুষ মারা যাচ্ছে তারা তা পরোয়া করে না।’
‘এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রদেয় শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াবো।’ বলে হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কত শতাংশ বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি।
ট্রাম্পের হুমকির আগেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক ছিল। যা এই সপ্তাহে ২৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়স্বাল বলেন, ‘ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেকোন বড় অর্থনীতির দেশের মত ভারতও জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় দেশগুলোতে তেলের বাজার হারায় মস্কো। ফলে ভারত হয়ে ওঠে রুশ তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। এতে ভারত বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পেরেছে, অন্যদিকে রাশিয়াও পেয়েছে বিকল্প বাজার।
তবে ভারত দাবি করেছে, যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য উৎস থেকে তেল নেওয়ায় তারা বিকল্প সরবরাহ হিসেবে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত রপ্তানিতে বড় অর্থনৈতিক শক্তি নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।