নওগাঁ, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জেলায় যাত্রাদলের জীবন কাহিনি নিয়ে লেখা “রূপশ্রী অপেরা” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রীতি সম্মিলিত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি গবেষণা কর্মকর্তা ও প্রাবন্ধিক-গবেষক মামুন সিদ্দিকী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী প্যারিমোহন গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ এর সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক আতাউল হক সিদ্দিকী, রূপশ্রী অপেরা বইয়ের লেখক মেহমুদ মোস্তফা রাসেল (এম.এম রাসেল) ও যাত্রাশিল্পী সন্তোষ কুমার দাসসহ অন্যরা।
এ সময় যাত্রাশিল্পের সাথে জড়িত পরিবারের সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
রূপশ্রী অপেরা বইয়ের লেখক বলেন, যাত্রাশিল্প আমাদের সংস্কৃতি ও এর ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। এক সময় গ্রাম বাংলার বিনোদনের মাধ্যম বলা যায় এই যাত্রাশিল্প। যেখানে উচ্চ শব্দ ও চড়া আলোর ব্যবহার এবং অতি নাটকীয় ভাব ভঙ্গি ও আবৃত্তির মাধ্যমে যাত্রার উপস্থাপনা করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি নাটক, পালাগান, পুথি ছিল বিনোদনের মাধ্যম। শীতের রাতে চাদর মুড়ি দিয়ে রাত জেগে গ্রাম বাংলার মানুষ যাত্রা দেখায় মজে থাকতো। বিশেষ করে দেবি সুলতানা, আনারকলি, মহুয়া সুন্দরী ও কাশেম মালার প্রেম যাত্রা ছিল অন্যতম। দর্শক শ্রোতা নৈতিক মূল্যবোধ, ব্যক্তি, শিক্ষা-সংস্কৃতিতে যাত্রাপালা প্রভাবিত করতো। কিন্তু বর্তমানে নানা কারণে যাত্রাপালা বিলীন হয়ে গেছে।
“রূপশ্রী অপেরা” বইটিতে স্থান পেয়েছে যাত্রার উঠে আসা এবং বিলীন হওয়ার গল্প। যাত্রাপালার সাথে যেসব শিল্পী জড়িত তাদের কথা তুলে ধরা হয়েছে।