ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো কোলর দে মেলোর আপিল খারিজ করে দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আরোপিত প্রায় নয় বছরের কারাদণ্ড পুনর্বহাল করেছেন—যা তিনি দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পেয়েছিলেন।
ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানায়, ফার্নান্দো কোলর দে মেলো ছিলেন ব্রাজিলের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ১৯৯২ সালে মেয়াদের অর্ধেক পথ পেরুনোর আগেই, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করলে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। পরবর্তীতে তিনি সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন।
সুপ্রিম কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট (এসটিএফ)-এর বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস, প্রতিরক্ষা দলের দ্বিতীয় আপিল খারিজ করেছেন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সিনেটর ফার্নান্দো কোলর দে মেলোর তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন।'
এই সিদ্ধান্তটি 'তাৎক্ষণিকভাবে' কার্যকরযোগ্য, তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তা ভোটাভুটির জন্য তোলা হবে।
২০২৩ সালে ৭৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রেসিডেন্টকে আট বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সিনেটর থাকাকালে ২০ মিলিয়ন রিয়াল (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার) ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউশন বলেছে, একটি নির্মাণ সংস্থা ও পেট্রোব্রাসের একটি সাবেক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি ‘অনিয়মিতভাবে সহজতর’ করার বিনিময়ে তিনি এই অর্থ গ্রহণ করেন।
কোলর দে মেলোর আইনজীবীরা বৃহস্পতিবারের রায়কে, 'অপ্রত্যাশিত ও উদ্বেগজনক' বলে উল্লেখ করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি 'আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে হাজির হবেন।'
ব্রাজিলে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট নন, যিনি আইনের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৬৪-৮৫ সামরিক শাসনের পর থেকে দেশটির সাতজন প্রেসিডেন্টের মধ্যে চারজনই দোষী সাব্যস্ত, কারাবন্দি কিংবা অভিশংসিত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ২০২২ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তথাকথিত এক অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে বিচারের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে।