ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এরইমধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সব ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
করাচি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের দেয়া সমস্ত ভিসা স্থগিত করেছে। পাশাপাশি ভারতের বেশ কয়েকজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
এরআগে মঙ্গলবার কাশ্মীরের পাহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন।
ভারতীয় পুলিশ হামলার পেছনে সন্দেহভাজন চারজনের মধ্যে তিন জনের নাম ও স্কেচ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক এবং তৃতীয়জন স্থানীয় কাশ্মীরি ব্যক্তি। অন্যদিকে, পাকিস্তান এই হামলার ঘটনায় তাদের ভূমিকা থাকার বিষয়ে ভারতের দাবি অস্বীকার করেছে।
এদিকে, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বিবৃতিতে পাহেলগাম হামলার সাথে পাকিস্তানের জড়ানোর প্রচেষ্টাকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এরআগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘ভারত ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করবে, এবং এমন শাস্তি দেবে যা কেউ ভাবতেও পারবে না। এজন্য তাদের পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাড়া করা হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়। এছাড়া ভারত ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবাও বাতিল করে।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তান ছয় দশকের পুরোনো পানিবণ্টন চুক্তি , সিন্ধু পানি চুক্তি - ভারতের স্থগিত করার সিদ্ধান্তকেও প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসলামাবাদ বলেছে, পানি বন্ধ বা ভিন্ন দিকে সরানোর যে কোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে বিবেচিত হবে।
এছাড়া ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে ৩০ জন করা হয়েছে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের আগে পাকিস্তান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।