ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের প্রচেষ্টায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা রোববার চার দিনের সফরে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইশিবার এই সফর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিজস্ব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের পরপরই হচ্ছে, যেখানে বেইজিং নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, কারণ বিশ্বনেতারা ট্রাম্পের শুল্ক নীতির মোকাবিলায় লড়াই করছেন।
যাত্রা শুরুর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনসহ সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে গ্রোথ সেন্টার উল্লেখ করেন, যারা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করেন, ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক নীতির কারণে এই অঞ্চল ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব’ ফেলতে পারে। এ অঞ্চলে জাপান পরিচালিত ব্যবসাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ইশিবা আরও বলেন, আমরা ওই অঞ্চলে থাকা জাপানি কোম্পানিগুলোর মতামত ও উদ্বেগ মনোযোগসহকারে শুনতে চাই এবং শুল্ক ব্যবস্থাপনা কীভাবে মোকাবেলা করব তা ব্যবহার করতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হওয়া সত্ত্বেও, জাপান ট্রাম্পের আমদানিকৃত গাড়ি, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর আরোপিত উচ্চ হারের শুল্কের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাপান ট্রাম্প ঘোষিত ১০ শতাংশ সর্বজনীন শুল্কের আওতাভুক্ত, যদিও ‘পাল্টাপাল্টি’ ভিত্তিতে ২৪ শতাংশ শুল্কের প্রয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
ভিয়েতনামের উপর ৪৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার উপর ৪৯ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কও ট্রাম্প স্থগিত করেছেন। মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের পরিণতি এড়াতে এই দুই দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু জাপানি কোম্পানি উৎপাদন স্থানান্তর করেছে।
ইশিবা তার সফরে চীনের পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে আগ্রাসী তৎপরতা নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে চীনা ও জাপানি টহল জাহাজগুলোর মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনাপূর্ণ মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ইশিবা আরও বলেছেন, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনও দক্ষিণ চীন সাগরের অত্যন্ত বিতর্কিত এলাকায় চীনা জাহাজের সাথে আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। চীন একতরফাভাবে বল প্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে আমরা হ্যানয় ও ম্যানিলার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে চাই।