সম্ভাব্য সমঝোতার লক্ষ্যে রোমে মেলোনি ও ম্যাক্রোঁর মধ্যে বৈঠক

বাসস
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ০৯:৫০
ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইতালির জর্জিয়া মেলোনি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাক, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইতালির জর্জিয়া মেলোনি আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে আলোচনা করবেন। ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সাম্প্রতিক সমালোচনার পর উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা হিসেবে এই বৈঠকটিকে দেখা হচ্ছে।

অতি-ডানপন্থী ইতালির প্রধানমন্ত্রী আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাথে একান্ত বৈঠকের আয়োজন করবেন। এই বৈঠকটিকে ইতালির করিয়ের ডেলা সেরা’ সংবাদপত্র ‘টার্নিং পয়েন্ট সামিট’ বলে অভিহিত করেছে।

এদিকে অপর একটি সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইল মেসাগেরো’ বলেছে,  ‘মেলোনি ম্যাক্রোঁর সাথে পুনর্মিলন করবেন উল্লেখ করে বৈঠককে সম্পর্কের বরফ গলানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে।’

ম্যাক্রোঁর দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনিই এই সফরের প্রস্তাব করেছিলেন, ‘কারণ ইউরোপীয়দের একত্রিত করা তার ভূমিকা এবং তিনি তার সাথে কাজ করতেও আগ্রহী।’

১৬ মে আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলনে এই জুটির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক দেখা দেয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মেলোনি তিরানায় ছিলেন কিন্তু ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানি,ব্রিটেন এবং পোল্যান্ডের নেতাদের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন, যার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি যৌথ বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।

মেলোনি বলেছেন, তিনি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে যেকোনো চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনে ইতালীয় সেনা পাঠানোর ধারণার বিরোধিতা করার কারণে তাদের সাথে যোগ দেননি।

ম্যাক্রোঁ পরে বলেছেন, ইতালীয়রা ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অধীনে কাজ করছে।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে আলোচনা করছিলাম তা ছিল যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য।’

তিনি আরও বলেছেন, ট্রাম্পের সাথে আহ্বানে সেনা পাঠানোর কোনো উল্লেখ ছিল না।
 
পরের দিন রোমে জার্মান চ্যান্সেলর-ফ্রেডরিখ মের্জের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মেলোনি তার ইউরোপীয় সমক্ষদের ‘স্বার্থপরতা’ ত্যাগ করে ‘পশ্চিমাদের ঐক্য’র ওপর মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।
 
২০২২ সালের অক্টোবরে মেলোনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্যারিস এবং রোমের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন নিয়ে প্রাথমিক বিরোধ এবং গত বছর ইতালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে আরেকটি বিরোধ।

কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ উভয়ই ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ব্লকের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে একই ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
 
সমালোচকরা উল্লেখ করেছেন, ম্যাক্রোঁ এবং মেলোনি উভয়েরই ভিন্ন ভিন্ন শক্তি রয়েছে যা অপরের জন্য কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে, আবার পুনর্মিলনকে সুবিধাজনক করে তুলতে পারে।

ফ্রান্সের তুলনায় কূটনৈতিক পর্যায়ে ইতালির প্রভাব কম। কারণ, যাদের পরমাণু অস্ত্র এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন আছে তাদের প্রভাব বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা এখনো মরদেহের অপেক্ষায় 
রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে যেতে সকল দলকে ভূমিকা রাখতে হবে : গোলাম পরওয়ার
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ইসরাইল-ইরান সংঘাত বন্ধে পুতিন-এরদোয়ান ফোনালাপ
২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ থেকে ১২ জনে কমিয়ে আনা হবে 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক আজ রাতে
জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জাতীয় পর্যায়ের খেলা শুরু
হাসপাতালে হামলা, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ তেহরানের
চুয়াডাঙ্গা বিএনপি নেতা এমদাদুল হকের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক
১০