পাকিস্তানে ঝড়-বৃষ্টিতে এক সপ্তাহে ৩২ জনের প্রাণহানি

বাসস
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:৫৯
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস): তীব্র তাপদাহের পর পাকিস্তানে গত এক সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টিতে অন্তত ৩২ জনের প্রাণহানি এবং ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা আরও পাঁচজনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছেন।

করাচি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বায়ুপ্রবাহে এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত পাকিস্তানের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ঝড়ো আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। 

তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার ১৪ জন এবং মঙ্গলবার ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্রমবর্ধমান চরম আবহাওয়ার সাথে লড়াই করছে।

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার সিন্ধু প্রদেশের হায়দ্রাবাদে ঝড়-বৃষ্টিতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বেশিরভাগ মৃত্যু দেয়াল ও ছাদ ধসে পড়ার কারণে হয়েছে। এছাড়া প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে সৌর প্যানেল ভেঙে অন্তত দুইজন মারা গেছেন।

পাকিস্তানে প্রতি বছর তীব্র ঝড়ের কারণে অনেক মানুষ মারা যান। সাধারণত মে মাসে অস্বাভাবিক হারে মৃত্যু হয়।

গত এপ্রিল মাসে অস্বাভাবিক উষ্ণতা ও অত্যন্ত শুষ্ক শীতের পর মে মাসে তাপদাহ দেখা দেয়। মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল, যা সর্বোচ্চ ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর ওপরে পৌঁছায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মনোনয়ন
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সাথে ডব্লিউজিইআইডি’র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
গুমের ঘটনায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুস্পষ্ট যোগসূত্র দেখেছে কমিশন
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা এখনো মরদেহের অপেক্ষায় 
রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় নিয়ে যেতে সকল দলকে ভূমিকা রাখতে হবে : গোলাম পরওয়ার
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ইসরাইল-ইরান সংঘাত বন্ধে পুতিন-এরদোয়ান ফোনালাপ
২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ থেকে ১২ জনে কমিয়ে আনা হবে 
১০