ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার থেকে বিশ্বব্যাপী সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য ভিসা আবেদনকারীদের বাড়তি যাচাই-বাছাই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে সিনহুয়া জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত কূটনৈতিক ক্যাবলে বলা হয়েছে, এই অতিরিক্ত যাচাইতে আবেদনকারীর অন্তত অনলাইন উপস্থিতির পূর্ণ স্ক্রিনিং করা হবে। আবেদনকারীরা হতে পারেন — সম্ভাব্য ছাত্র, বর্তমান ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, ঠিকাদার, অতিথি বক্তা বা পর্যটকসহ যেকোনো প্রকার।
ক্যাবলে ‘অ্যানি’ (যেকোনো) শব্দটি গাঢ় অক্ষরে বোল্ড করা হয়েছে এবং উল্লেখ আছে যে, এই স্ক্রিনিং হবে যেকোনো অস্থায়ী ভিসার আবেদনকারীর জন্য।
ভিসা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাদের যোগ্য মনে হয়, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো পাবলিক করতে হবে এবং তাদের আবেদন ফ্রড প্রিভেনশন ইউনিটে পাঠাতে হবে। এই ইউনিট প্রতিটি আবেদনকারীকে সামাজিক মাধ্যমসহ অনলাইন উপস্থিতি যাচাই করে সম্ভাব্য অযোগ্যতা শনাক্ত করবে।
ক্যাবলে বলা হয়েছে, 'এই বাড়তি যাচাই ব্যবস্থা ভিসা কর্মকর্তাদের জন্য সহায়ক, যাতে তারা এন্টি-সেমিটিক হয়রানি ও সহিংসতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ভিসা যোগ্যতা বিচার করতে পারেন।'
এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিরোধের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, অন্যান্য যাত্রীরাও এর আওতায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এটি ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক মিডিয়া যাচাইয়ের একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জানায়, নতুন ছাত্র ভিসার জন্য সাক্ষাৎকার সময়সূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং সকল বিদেশি ছাত্রদের সামাজিক মিডিয়া যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা বিবেচনায় আনা হচ্ছে।