বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:১৮

২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলা নিয়ে ওএইচসিএইচআর-এর বিবৃতির নিন্দা বিএফইউজের

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ক্যাডারদের দ্বারা সাংবাদিক ও আলোকচিত্র সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং ১ নভেম্বর ওই ঘটনা নিয়ে দেওয়া জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতির নিন্দা জানিয়েছে। 
বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ এখানে বলা হয়, ‘আমরা ২৮ অক্টোবর সাংবাদিক, ক্যামেরা-সাংবাদিক ও অন্যদের ওপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মীদের জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই, যারা পুলিশের সাথে সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। 
ওইদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ চলাকালে হামলায় শতাধিক পুলিশ সদস্য ও অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
সাংবাদিদের শীর্ষ সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ১ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের সহিংস ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ওএইচসিএইচআর-এর জারি করা প্রেস নোটে হতাশ ও  মর্মাহত।
ঘটনার বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে জারিকৃত প্রেস নোটটিকে বিএফইউজে পক্ষপাতদুষ্ট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে মনে করে উল্লেখ করে বলেছে, ‘আমরা ওএইচসিএইচআর-এর করা অভিযোগ ও ইঙ্গিত দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করি।’
পেশাদার সাংবাদিকদের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বিএফইউজে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নৈতিক সাংবাদিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার নীতিমালা সমর্থন করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের দেশে এবং এর বাইরেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রহরী হিসাবে কাজ করি।’
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ওএইচসিএইচআর ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, বাস্তবতা যাচাই না করে এবং পরিস্থিতি না বুঝে তাড়াহুড়ো করে এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিবৃতি দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।’
সাংবাদিকদের সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএফইউজে ২৮ অক্টোবর হামলার শিকার সাংবাদিকদের নাম, পরিচয় ও মৌখিক রেকর্ডকৃত সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছে এবং ওএইচসিএইচআরকে তাদের বিবরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চায়।
বিএফইউজে ওই দিন হামলার শিকার সাংবাদিকদের নিয়ে সুবিধাজনক সময়ে ও জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে মানবাধিকার ইস্যুতে কোনও অবস্থান নেওয়ার আগে বিশ্বস্ত উৎস, বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে থাকা তথ্য যাচাই ও বাছাই করার জন্য আহ্বান জানাই।’