বাসস
  ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪৮

মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রামের ১৭ প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ (বাসস) : মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়েসহ চট্টগ্রাম জেলার ১৭ টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের ২৪ টি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রকল্পগুলোর ব্যয় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। আজ ১৪ নভেম্বর সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারাদেশে ১০১ টি প্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল। 
ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চট্টগ্রামের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রকল্পগুলো হচ্ছে : পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ‘বে-টার্মিনাল’ শীর্ষক প্রকল্প পিপিপি প্রকল্প, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ (বিভিন্ন সংখ্যক তলাবিশিষ্ট ১৫ ভবন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪ টি ভবনে ১৬০ টি ফ্ল্যাট ও ৬৪ টি ডরমিটরি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, এশিয়ান ইউনিভার্র্সিটি ফর উইমেন-এর বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক নির্মাণ, সিরাজউদ্দোলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত জানে আলম দোভাষ সড়ক নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ফেনী বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল-এর জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক (এন-০১) এর ২৫২ তম কিলোমিটারে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ, সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ এবং মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নং-১) নির্মাণ কাজ। 
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রকল্পগুলো উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ইউনিট কমান্ডের পক্ষে মো. নুর উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনসহ  সরকারি বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।  
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দেশে ১১ জেলার সাতটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দেশের ৩২ জেলা ও ৩৯৪ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো বলেও জানান তিনি। ৪র্থ পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়। একইসাথে বাঁশখালী, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প উদ্বোধনকালে বলেন, ‘একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’  বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে উন্নয়ন ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে। তিনি দেশবাসীকে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।