শিরোনাম
ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ চারটি ইস্যুতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে।
নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলা; এই চারটি মূল দাবিসহ ভিন্ন জনদাবিতে দলের ৬৭টি সাংগঠনিক জেলায় পর্যায়ক্রমে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
আগামীকাল বুধবার ১২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় ধারাবাহিকভাবে বিএনপি’র এ সমাবেশ কর্মসূচি চলবে। সমাবেশে যোগ দিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে যাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র তিনজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, দলের সাংগঠনিক জেলায় টানা এ সমাবেশ কর্মসূচি পালনে মূল চারটি ইস্যুকে নির্ধারণ করা হলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিকে ‘মূল ফোকাস’ হিসেবে রাখা হবে।
এর কারণ হিসেবে নেতারা যে যুক্তি তুলে ধরেছেন তা হলো- গতকাল সোমবার রাজধানীর যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
বিএনপি’র নেতারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার এমন আশ্বাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতারা আশ্বস্ত হয়েছেন। তবে এরপরেও নির্বাচন ইস্যুতে শঙ্কা কাটেনি। কারণ, বিএনপি মনে করছে, নির্বাচন আয়োজনে সরকার আন্তরিক হলেও বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের বাধা আসতে পারে। নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হতে পারে। ফলে এ জেলা সমাবেশগুলোতে নির্বাচনের দাবি আরও জোরালো করা হবে।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোন জেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্র থেকে প্রতিটি কর্মসূচি ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে সর্বাত্মকভাবে সফল করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। রমজান শুরু হওয়ার আগে এ কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিরাজগঞ্জে নজরুল ইসলাম খান, ফেনীতে সালাহউদ্দিন আহমেদ, খুলনায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, রাজবাড়ীতে ড. আসাদুজ্জামান রিপন, পটুয়াখালীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সুনামগঞ্জে আরিফুল হক চৌধুরী এবং জামালপুরের সমাবেশে যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
১৭ ফেব্রুয়ারি: যশোরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইলে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মাদারীপুরে বেগম সেলিমা রহমান, চাঁদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু, বগুড়ায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মৌলভীবাজারে আরিফুল হক চৌধুরী ও ভোলায় জহির উদ্দিন স্বপন।
১৮ ফেব্রুয়ারি: কক্সবাজারে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, পাবনায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, পঞ্চগড়ে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কুমিল্লা দক্ষিণে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ঝিনাইদহে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মানিকগঞ্জে জ্যেষ্ঠ যুগ-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, হবিগঞ্জে যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং নেত্রকোনায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
১৯ ফেব্রুয়ারি: নোয়াখালীতে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিলেটে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কিশোরগঞ্জে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়ায় মিজানুর রহমান মিনু, শরীয়তপুরে ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, পিরোজপুরে মজিবুর রহমান সারোয়ার এবং রাজশাহীতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
২০ ফেব্রুয়ারি: ঢাকায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লক্ষ্মীপুরে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশাল দক্ষিণে সেলিমা রহমান, ময়মনসিংহ দক্ষিণে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চুয়াডাঙ্গায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নওগাঁয় মিজানুর রহমান মিনু এবং কুড়িগ্রামে আবদুস সালাম।
২২ ফেব্রুয়ারি: ঝালকাঠিতে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আহমেদ আজম খান, ময়মনসিংহ উত্তরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়পুরহাটে হারুনুর রশীদ, কুমিল্লা উত্তরে মাহবুব উদ্দিন খোকন, বান্দরবানে আসলাম চৌধুরী, রংপুরে আবুল খায়ের ভূঁইয়া এবং নরসিংদীতে যুগ্ম-মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ।
২৪ ফেব্রুয়ারি: মুন্সীগঞ্জে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বরিশাল উত্তরে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, নাটোরে আহমেদ আজম খান, গাইবান্ধায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ, রাঙামাটিতে যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মাগুরায় আবদুস সালাম আজাদ এবং সৈয়দপুরে এমরান সালেহ প্রিন্স।
২৫ ফেব্রুয়ারি: নারায়ণগঞ্জে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গাজীপুরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চট্টগ্রাম উত্তরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বাগেরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, সাতক্ষীরায় নিতাই রায় চৌধুরী, দিনাজপুরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মেহেরপুরে আমান উল্লাহ আমান, নীলফামারীতে জয়নুল আবদিন ফারুক, খাগড়াছড়িতে মনিরুল হক চৌধুরী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবদুস সালাম।