প্রযুক্তিগত সুবিধায় ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থা আরো সুদৃঢ় হবে : প্রধান বিচারপতি

বাসস
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৪
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে চলমান গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫-এর ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরাম-এবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫(বাসস) : প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল যুগের জটিলতা মোকাবিলা করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থা আরো সুদৃঢ় হবে।

এই লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

দুবাইয়ে চলমান গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫-এর ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরাম-এ আজ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ মূল বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন।

‘দুবাইয়ে চলমান গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিট-এ দায়িত্বশীলতার সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।’

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করেন।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত মন্ত্রিসভার মিনিস্টার অব ষ্টেট ও সেক্রেটারি জেনারেল মরিয়াম আল হাম্মাদি। 

অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, আইনজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তৃতায় দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ,অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অভিযোজন সক্ষম আধুনিক আইনি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, আধুনিক বিশ্বে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে এআই এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবেলায় নতুন করে প্রস্তুত হতে হবে।

তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।  

প্রধান বিচারপতি বলেন, এআই এর প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই তিনি এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতৃবৃন্দের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, এআই কিংবা এরূপ অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি সিভিল এবং কমন ল’ ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজন যোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এআই এর জন্য আধুনিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শুধু মাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় নয়; বরং এরূপ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভবিষ্যত প্রজন্মেরও কল্যাণও নিশ্চিত করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
শহিদুল আলম বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক : প্রধান উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে আইএমও’র মহাসচিবের বৈঠক
ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হলো  দুই দিনব্যাপী  জাতীয় বিতর্ক উৎসব
আইনজীবী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে পিরোজপুর জেলা বিএনপির মতবিনিময়
ডিএমপির বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেফতার
কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে গত চার দিনে ডিএমপির ৫,০৯৯টি মামলা
মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে : ধর্ম উপদেষ্টা
আয়ারল্যান্ড সিরিজের সূচি প্রকাশ
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক 
১০