‘ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল’

বাসস
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৯
শুক্রবার রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অমর একুশের ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। ছবি: বাসস

রংপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যা পরবর্তীতে দেশের চূড়ান্ত মুক্তি অর্জনের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল। যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের ঋণ কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, ততদিন ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি অম্লান থাকবে।

শুক্রবার রাতে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অমর একুশের ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আবু জাফর একথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল, মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বাংলা ভাষার চর্চা সম্পর্কে প্রধান অতিথি মো. আবু জাফর বলেন, হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ অনেক জায়গায় এখনো  ভূল বাংলা বানান এবং ইংরেজিতে লেখা ব্যানার, পোস্টার এবং সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, ‘সকল স্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের পাশাপাশি, উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনে অন্য ভাষা শেখার আগে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের তাদের নিজস্ব ভাষা সঠিকভাবে বলতে এবং লিখতে শেখানো উচিত।’ 

সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেছেন, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য পর্যায়ক্রমে সংঘটিত সকল আন্দোলনের মধ্যে শেষটি ছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি।

তিনি বলেছেন, ‘এই দিনটি, ২১ ফেব্রুয়ারি, আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাঙালি ছাড়া অন্য কোনো জাতি তাদের মাতৃভাষার জন্য জীবন দান করেনি। এ কারণেই ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’ 

ভাষা আন্দোলন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থান সম্ভব করে তুলেছিল উল্লেখ করে তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার এবং ভাষা গবেষণার ওপর জোর দেন।

আলোচনা শেষে ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিক মোহাম্মদ আফজালকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

পরে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পার্বত্য এলাকায় একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে : সুপ্রদীপ চাকমা
চীন সফর শেষে জামায়াত আমীরের দেশে প্রত্যাবর্তন
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই পুনর্জাগরণ উদযাপন উপলক্ষে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করতে মাউশি’র নির্দেশনা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাঠে ছিলাম ‘ক্ষুব্ধ নারী সমাজ’ প্লাটফর্মের ব্যানারে : ফরিদা আখতার
মাদ্রাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা চর্চায় জোর দিতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা 
শুল্ক কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শক্তিশালী করার পরামর্শ আমির খসরুর
রাজশাহীর বাগমারায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবক নিহত
রাজশাহীতে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ ২০ জন আটক
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া
১০