শিক্ষকের দায়িত্ব পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১৫:৪১
শনিবার ময়মনসিংহের টাউন হলস্থ তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) :  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় দক্ষ হলে সহজেই ইংরেজিসহ বিদেশি ভাষা শিখতে পারবে। শিক্ষকের দায়িত্ব পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করা, তাহলে অনেক সমস্যা কেটে যাবে। সকলে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারব।

মানসম্মত শিক্ষা সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের সক্ষম করে তোলা। শিক্ষকরা শিশুদেরকে মুখস্ত না করিয়ে তারা যেন মাতৃভাষায় বলতে, পড়তে, লিখতে ও গণিত করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। 

শনিবার ময়মনসিংহের টাউন হলস্থ তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ অংশ নেন।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক স্কুল ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব ছিল না। এখন কিন্ডারগার্টেন, মাদ্রাসা হয়েছে। মানুষ স্বাধীন, তারা কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসায় শিশুদের পড়াচ্ছে। আমরা প্রাথমিকে বিনাবেতনে পড়াচ্ছি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দিচ্ছি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। তারপরও অভিভাবকরা তাদের শিশুদের পয়সা খরচ করে অন্যখানে কেন পড়াচ্ছেন? আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষার অবকাঠামো ভাল, শিক্ষকরা মানসম্পন্ন, পড়াশুনায় অগ্রসর, বেতনকাঠামো মোটামুটি ভাল, চাকরির নিশ্চয়তা আছে। অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলকভাবে কম। তারপরেও অভিভাবকরা কেন তাদের শিশুদের অন্য বিদ্যালয়ে পড়াবেন? প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমস্যা কোথায়? কিভাবে উন্নয়ন করতে পারি সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত আশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দেবেন ট্রাম্প
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ট্রাক একীভূতকরণের খবরে জাপানের হিনো মোটরসের শেয়ারের দাম বেড়েছে
বুরকিনায় 'সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা' তৈরির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হয়েছে : সামরিক জান্তা 
টাঙ্গাইলে মুষ্টি চাল বিক্রির টাকায় রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে
মজুরি ৩ বছর পর পর মূল্যায়নে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
এখনও থামেনি শহীদ রাসেলের মায়ের বুক ফাটা কান্না
সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠনের সুপারিশ
বিজয়ের বিবেকের জাগরণ : রক্তে লেখা আত্মদানের গল্প
১০